রাজভবন। —ফাইল চিত্র।
মেট্রোর উদ্বোধনে এসে রাজভবনে রাত্রিবাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজভবন সূত্রের খবর, সে জন্য ১ মার্চ থেকে কঠোর নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল রাজভবন চত্বর। সেই সঙ্গে ভেঙে ফেলা হয়েছে ওই চত্বরে থাকা আস্ত মৌচাক!
এই ঘটনার নিন্দা করে পরাগবাহকদের গবেষক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক পার্থিব বসু বলেন, ‘‘গোটা পৃথিবীতে মৌমাছিদের বাঁচানো যখন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে, তখন এক জন ভিভিআইপি-র জন্য মৌচাক ভেঙে ফেলা অন্যায়।’’ পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের পর্যবেক্ষণ, ‘‘কলকাতার বুকে মৌমাছির চাক বিরল। তা নষ্ট করা মানে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া।’’
বন দফতর সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে দিনকয়েক আগে রাজভবনে হোসপাইপের মাধ্যমে জল ছিটিয়ে বড় গাছে থাকা ওই মৌচাকটি ভেঙে মৌমাছিদের তাড়ানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করতে গত কয়েক দিন ধরে রাজভবনে ডিউটি করছেন বন দফতরের আধিকারিকেরা। উল্লেখ্য, রাজভবনে প্রায় ২০টি কুকুর ও ৭০টি ভাম রয়েছে। তারা যাতে প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে এসে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে বন দফতর বলেছিল কলকাতা পুরসভার ডগ স্কোয়াডকে। কিন্তু ১ মার্চ পাঁচ ঘণ্টা ধরে রাজভবন চত্বরে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তাদের দেখা পায়নি ডগ স্কোয়াডের দল। সূত্রের খবর, রাজভবনে একাধিক বড় নিকাশি নালা রয়েছে, যেগুলি গঙ্গার সঙ্গে যুক্ত। এক পুর আধিকারিক জানান, সে দিন তল্লাশির সময়ে কুকুর বা ভামেরা ওই নালায় ঢুকে যায়। তাই দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও তাদের দেখা মেলেনি। তবে মৌচাক ভাঙা প্রসঙ্গে বন দফতরের উপ বনপাল (বন্যপ্রাণ) কল্যাণ রাই জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy