ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে ন্যূনতম ১২ ঘণ্টা ধরে। যদিও, ইউজিসির নির্দেশ তা নয়। স্বভাবতই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি পাঠিয়ে ইউজিসি বলেছিল, দুই অথবা তিন ঘণ্টার মধ্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের চূড়ান্ত সিমেস্টার এবং চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নিতে হবে। তার পর থেকে রাজ্যের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ই সেই নির্দেশ মেনে আসছে। কিন্তু গত এপ্রিলে যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা নেয় ২৪ ঘণ্টা ধরে। তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক হওয়ায় স্থির হয়, পরবর্তী ইভেন সিমেস্টারের পরীক্ষা ছ’ঘণ্টার মধ্যে নেওয়া হবে। তাতে আপত্তি তোলে ইঞ্জিনিয়ারিং ফাকাল্টির ছাত্র সংসদ (ফেটসু)। তাদের বক্তব্য, করোনা পরিস্থিতিতে পড়ুয়ারা বিবিধ অসুবিধার সম্মুখীন। তাই সকলে যাতে পরীক্ষা দিতে পারেন, সে জন্য ন্যূনতম ১২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হোক। ১৮ মে ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। যদিও এমন সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছিলেন ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের এক সদস্য।
ওই বৈঠকে স্থির হয়, পড়ুয়ারা ৭০ নম্বরের পরীক্ষা দেবেন তিন ঘণ্টায়। উত্তরপত্র জমা দেওয়ার জন্য থাকবে আরও অন্তত ৯ ঘণ্টা। এই নির্দেশকে তাদের জয় বলে মনে করছে ফেটসু। সংগঠনের সদস্যেরা ফেসবুকে সিদ্ধান্তের প্রতিলিপি-সহ এই নির্দেশ পোস্ট করে জানিয়েছেন, প্রশ্নপত্র এবং অ্যাডমিট কার্ডে লেখা থাকবে পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা। আসলে সময় সব মিলিয়ে ন্যূনতম ১২ ঘণ্টা।
এর আগে ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির পড়ুয়ারা বহু বিতর্কের পরেও সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা না দিয়েই পাশ করে গিয়েছেন। কিন্তু বিজ্ঞান এবং কলা বিভাগের পড়ুয়ারা সেই পরীক্ষা দিয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেই নানা প্রশ্ন উঠেছে। অনেক শিক্ষকের মত, এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম তো ক্ষুণ্ণ হবেই, ভবিষ্যতে পড়ুয়াদের ডিগ্রিও বাতিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অনেকের আবার আশঙ্কা, বিষয়টি প্রভাব ফেলতে পারে যাদবপুরের পরবর্তী র্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনের (জুটা) সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, এই অবস্থায় গোটা বিষয়টি নিয়ে আজ, শনিবার বৈঠক ডেকেছেন তাঁরা।
ফেটসুর চেয়ারপার্সন অরিত্র মজুমদার বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রী ও তাঁদের পরিবারের অনেকেই আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ একটু নমনীয় না হলে পড়ুয়ারা অসুবিধায় পড়বেন।’’ বিষয়টি নিয়ে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের প্রতিক্রিয়া জানতে ফোন এবং মেসেজ করা হলেও উত্তর পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy