ছবি: সংগৃহীত
গড়াগাছা ও পামারবাজারের হটমিক্স প্লান্টকে পরিবেশবান্ধব করার জন্য কলকাতা পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। গত মাসে পরিবেশ আদালতে হলফনামা দাখিল করে পুরসভা জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে ওই দুই প্লান্টকে পরিবেশবান্ধব করা হয়েছে। নিজেদের দাবির পক্ষে পুরসভা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্টেরও উল্লেখ করেছে। যদিও পর্ষদের ওই রিপোর্টকে অসম্পূর্ণ বলে দাবি করছেন পরিবেশকর্মীরা।
কারণ, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাচ টাইপ এবং ড্রাম টাইপ— এই দু’ধরনের হটমিক্স প্লান্টের দূষণ নির্ধারণের গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠিগুলি হল ভাসমান ধূলিকণা, সালফার ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড। ব্যাচ টাইপ ও ড্রাম টাইপ হটমিক্সের ক্ষেত্রে ভাসমান ধূলিকণার নির্ধারিত মাত্রা হল যথাক্রমে ১৫০ মিলিগ্রাম/ঘনমিটার এবং ৩০০ মিলিগ্রাম/ঘনমিটার। দু’ধরনের হটমিক্স প্লান্টের ক্ষেত্রেই সালফার ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের নির্ধারিত মাত্রা হল যথাক্রমে ২৫০ মিলিগ্রাম/ঘনমিটার ও ২০০ মিলিগ্রাম/ঘনমিটার।
পর্ষদের রিপোর্ট অনুযায়ী, পামারবাজার ও গড়াগাছা প্লান্টে নির্গত ধোঁয়ায় ভাসমান ধূলিকণার মাত্রা যথাক্রমে ৩.২৬ মিলিগ্রাম/ঘনমিটার এবং ৭.৬১ মিলিগ্রাম/ঘনমিটার। অর্থাৎ তা নির্ধারিত মাত্রার মধ্যেই রয়েছে। কিন্তু সালফার ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের মাত্রার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে— ‘টু বি সাবমিটেড বাই রেকগনাইজ়ড ল্যাব’। যার পরিপ্রেক্ষিতে এক পরিবেশবিজ্ঞানী বলছেন, ‘‘দু’টির তথ্যই জানা গেল না অথচ পুরসভা বলে দিল যে, প্লান্ট দু’টিতে কোনও দূষণই হচ্ছে না!’’ সংশ্লিষ্ট মামলার আবেদনকারী, পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলছেন, ‘‘এই রিপোর্ট অসম্পূর্ণ, বিভ্রান্তিমূলক। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে চিঠি দিয়েছি।’’
এই হলফনামায় পুরসভা এ-ও জানিয়েছে, ‘কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ’ স্বীকৃত বিকল্প পদ্ধতিতে রাস্তা তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই বিস্তারিত পরিকল্পনা রিপোর্ট তৈরি করে তা অনুমোদনের জন্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোনও নির্দিষ্ট বিকল্প পদ্ধতির কথা কেন উল্লেখ করা নেই, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশকর্মীরা। এক পরিবেশকর্মীর কথায়, ‘‘রাজ্যের পূর্ত দফতর যেখানে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে রাস্তা নির্মাণের কাজে অনেকটাই এগিয়েছে, সেখানে পুরসভা এখনও দরপত্রের প্রক্রিয়াই সম্পূর্ণ করতে পারেনি!’’ যদিও কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, পরিবেশ আদালতের নির্দেশমতোই যাবতীয় নিয়ম মেনে সমস্ত কাজ হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy