Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

নির্মাণ সংস্থার বিরুদ্ধে কোর্টে ক্রেতারা

ক্রেতাদের অভিযোগ, ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দেওয়ার আগে তাঁদের ‘নো অবজেকশন লেটারে’ সই করতে বাধ্য করা হচ্ছে। অথচ প্রতিশ্রুতি মতো অনেক কিছুই ওই নির্মাণকারী সংস্থা করেনি বলে অভিযোগ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৯ ০২:৩৬
Share: Save:

২০১১ সালে শুরু হয়েছিল প্রকল্প। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, ২০১৫ সালের মার্চে ক্রেতাদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দেওয়া হবে। ক্রেতাদের অভিযোগ, তার পরে দু’বছর পার হয়ে গেলেও ফ্ল্যাট পাননি তাঁরা।

ক্রেতাদের অভিযোগ, ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দেওয়ার আগে তাঁদের ‘নো অবজেকশন লেটারে’ সই করতে বাধ্য করা হচ্ছে। অথচ প্রতিশ্রুতি মতো অনেক কিছুই ওই নির্মাণকারী সংস্থা করেনি বলে অভিযোগ। নাগেরবাজার এলাকার ওই ফ্ল্যাটের ক্রেতারা ইতিমধ্যেই এ নিয়ে দিল্লিতে জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন।

রবিবার বেশ কয়েক জন ক্রেতা ওই আবাসনের সামনে রাস্তায় নামেন। হাতে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার নিয়ে কালো ব্যাজ পড়ে ওই আবাসনের সামনে জড়ো হন তাঁরা। সেখানে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতে নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে দীর্ঘক্ষণ স্লোগান দেন তাঁরা। এর পরে আবাসনের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে কর্মীরা তাঁদের বাধা দেন। সেই সময়ে দু’পক্ষের মধ্যে গোলমাল বাধে। এ দিন প্রতীকী ধর্নার পাশাপাশি তাঁরা বিষয়টি দমদম থানার পুলিশকেও জানিয়েছেন। নির্মাণ সংস্থা অবশ্য ক্রেতাদের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে, কোনও বেআইনি কাজ তারা করেনি।

ক্রেতাদের অন্যতম অমিত ধানুকা জানান, ২০১১ সালে আবাসনের কাজ শুরু হয়েছিল। চুক্তি করার সময়ে বলা হয়, ২০১৭ সালের মার্চে ফ্ল্যাটের দখল দেওয়া হবে। অধিকাংশ ক্রেতা ফ্ল্যাটের দামের ৯০ শতাংশ মিটিয়ে দিয়েছেন। তবু তাঁরা ফ্ল্যাট পাননি। চুক্তিতে বলা হয়েছিল, নির্দিষ্ট সময়ে ফ্ল্যাটের দখল না দিতে পারলে নির্মাণকারী সংস্থা আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেবে। আবাসনের আরও এক ক্রেতা রশ্মি কয়াল বলেন, ‘‘ক্ষতিপূরণের টাকা চাইতে গেলে তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, তা দেওয়া হবে না। আবার ফ্ল্যাটের চাবি দেওয়ার সময়ে তারা লিখে দিতে বলছে, সংস্থার কাছে আমাদের কোনও দাবি নেই। আমরা তাদের কাজে পুরোপুরি সন্তুষ্ট।’’ তপন ভৌমিক নামে অন্য এক ক্রেতার অভিযোগ, ‘‘যে ‘সাইট প্ল্যান’ দেখানো হয়েছিল, তা বদলে আবাসনের ভিতরে রাস্তা ছোট করে সেখানে বেআইনি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি তা বিক্রি করা হচ্ছে।

নির্মাণকারী সংস্থার পক্ষে বি পি সিংহ রায় বলেন, ‘‘১৫০ জন ক্রেতা ফ্ল্যাটের চাবি নিয়েছেন। তাঁরা কাজ নিয়ে খুশি। কয়েক জনের অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে। সেই জন্য তাঁরা গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করছেন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Consumer Court Construction Company Nagerbazar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy