— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পুজোর ছুটির শেষে নভেম্বরে স্কুল খোলার কিছু দিনেরমধ্যেই শুরু হয়ে যাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট। তারই সঙ্গে রয়েছেপঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির চূড়ান্ত পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন। তাইএকাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সিমেস্টারের পাঠ্যক্রম যাতে ঠিক সময়েশেষ করা যায়, তার জন্য উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ পরামর্শ দিয়েছিল, স্কুলগুলি যেনলক্ষ্মীপুজো থেকে কালীপুজোর মধ্যেঅনলাইনে ক্লাস নেয়। কিন্তু অধিকাংশ স্কুলই জানাচ্ছে,অনলাইন ক্লাস নিয়ে সে ভাবে সাড়া পাচ্ছে না তারা। যার পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ মাধ্যমিকস্তরে দ্বিতীয় সিমেস্টারের পাঠ্যক্রম সময় মতো শেষ হবে কিনা,সেই প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষকদের অনেকে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সিমেস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা হচ্ছে। প্রথম সিমেস্টার পুজোর আগেই শেষ হয়েছে। তবে, দ্বিতীয় সিমেস্টার এখনও কোনও স্কুল শুরু করতে পারেনি। এ দিকে, পুজোর ছুটির শেষে আগামী ৫ নভেম্বরস্কুল খোলার পরে ২১ নভেম্বর থেকে মাধ্যমিকের টেস্ট শুরু। ২ ডিসেম্বর শুরু হবে উচ্চ মাধ্যমিকেরপ্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা। যার অর্থ, তার আগেই উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট শেষ করতে হবে। তার জন্যসেই পরীক্ষা শুরু করতে হবে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে। এর পাশাপাশি, ২৮ নভেম্বর শুরু হচ্ছে পঞ্চম থেকে নবমশ্রেণির চূড়ান্ত পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন। সব মিলিয়ে টেস্ট এবং স্কুলের পরীক্ষা শুরু হয়ে গেলেএকাদশের দ্বিতীয় সিমেস্টারের ক্লাস আদৌ কত দিন পাওয়া যাবে, তা নিয়েই সন্দিহান শিক্ষকদের বড় অংশ। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এক কর্তা বলেন,‘‘এই দিকগুলি বিবেচনায় রেখেই লক্ষ্মীপুজো থেকে কালীপুজোর মধ্যে শিক্ষক ও পড়ুয়াদের সঙ্গেআলোচনা করে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।’’
প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংগঠন ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ডহেডমিস্ট্রেসেস’-এর রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, ‘‘হাতে গোনা স্কুল অনলাইন ক্লাসে উৎসাহী। তার চেয়েও বড় কথা,শহরের কিছু স্কুল অনলাইনে ক্লাস করতে পারলেও মফস্সল বা গ্রামাঞ্চলের পড়ুয়ারা অনলাইনে ক্লাস করতে সড়গড় নয়। তার চেয়ে বরং গরমেরছুটি বাড়িয়ে পুজোর ছুটি কমিয়ে যদি লক্ষ্মীপুজো থেকেকালীপুজোর মধ্যে স্কুল খুলে যেত এবং অফলাইনে ক্লাস হত,তা হলে একাদশের পড়ুয়ারা উপকৃত হত।’’
‘মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি’র সাধারণ সম্পাদকনীলকান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, অত্যধিক গরমের জন্য গ্রীষ্মের ছুটি ১০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৩৫থেকে ৪০ দিন হয়ে যাচ্ছে। আবার, পুজোর ছুটিও এক মাসের মতো থাকছে। ফলে, প্রতি বছর শিক্ষা দিবসনষ্ট হচ্ছে। সেই ঘাটতি পূরণ করতে অনলাইন ক্লাস বিকল্পনয়। বরং লক্ষ্মীপুজো এবং কালীপুজোর মধ্যে স্কুল খুলে অফলাইন ক্লাস জরুরি ছিল।’’
‘কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস’-এর সম্পাদকসৌদীপ্ত দাসের প্রশ্ন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিকের প্র্যাক্টিক্যাল কেন কিছু দিন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে না? সে ক্ষেত্রে টেস্টের সূচিও পিছিয়েদেওয়া যেত। এতে একাদশের পড়ুয়ারা কিছুটা বেশি সময় দ্বিতীয় সিমেস্টারের ক্লাস অন্তত করতে পারত।’’
‘অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক চন্দন গড়াই বলেন,‘‘পুজোর ছুটিতেও শিক্ষকদের টেস্টের প্রশ্ন তৈরি, একাদশের প্রথম সিমেস্টারের খাতা দেখা-সহ বেশ কিছু কাজ করতে হচ্ছে। এইপরিস্থিতিতে নতুন করে অনলাইন ক্লাস করতে হলে আগে থেকে পরিকল্পনা দরকার। সেটানা থাকায় পড়ুয়ারাও অনলাইন ক্লাসে উৎসাহ পাচ্ছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy