পুনর্বাসন হিসেবে মহিষবাথানে এই ঘরগুলিই দেওয়া হচ্ছে জবরদখলকারীদের। নিজস্ব চিত্র।
বহু কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর রুটে মেট্রোর কাজ শুরু হতে চলেছে পাঁচ নম্বর সেক্টর এবং মহিষবাথান এলাকায়। শিল্পতালুক এবং নিউ টাউনের মধ্যে সংযোগকারী সেতুর নীচ থেকে জবরদখলকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের জন্য বাড়ি ও দোকান তৈরি করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। দু’বছর ধরে থমকে থাকা কাজ দ্রুত শুরু হবে বলেই জানিয়েছে ‘রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড’ (আরভিএনএল)।
নিগমের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (সিভিল, এক্সপার্ট) সত্যরঞ্জন দাস জানান, ওই এলাকা জুড়ে সেতুর পাশ দিয়ে মেট্রোপথের ১১টি স্তম্ভ তৈরি হবে। জবরদখলের সমস্যা মিটে যাওয়ায় এ বার দ্রুত কাজ শুরু করতে চাইছে আরভিএনএল। সত্যরঞ্জনবাবুর কথায়, ‘‘এত বড় প্রকল্প দু’বছর আটকে থাকা মানে বড় ব্যাপার। রাজ্য সরকার ও প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ায় সমাধান হয়েছে।’’
আরভিএনএল সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার চেয়েছিল, তাদের নীতি অনুযায়ী জবরদখলকারীদের পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ না-করতে। আবার রেল তাদের নীতি অনুযায়ী, জবরদখলকারীদের ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসন দেয় না। তাই তাঁদের জন্য দোকান ও দু’কামরার ঘর তৈরি করতে টাকা দিয়েছে রাজ্য পরিবহণ দফতরই। যা তৈরি করে দিয়েছে বিধাননগর পুরসভা।
মহিষবাথানের কাছে পাঁচ নম্বর সেক্টর ও নিউ টাউনের মধ্যে সংযোগকারী ওই সেতুর নীচে ২৭টি পরিবারের বসবাস ছিল। অনেকে ঘর তৈরি করে অন্যকে ভাড়াও দিয়ে রেখেছিলেন। এমনকি, একাধিক দোকানও ছিল সেখানে। জবরদখলকারী ঠিক কত জন? সেই হিসেব বুঝতে আরভিএনএল সমীক্ষা চালায়। জানা যায়, সেতুর নীচে থাকেন না, কিন্তু ঘর তৈরি করে ভাড়ার ব্যবসা করছেন অনেকেই। এ সব জটে মেট্রোর কাজ থমকে যায়।
বিধাননগর পুরসভার চার নম্বর বরোর চেয়ারম্যান বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, যে হেতু জবরদখল ছিল খালের ধারে, তাই তাঁদের উচ্ছেদ করার অধিকার সেচ দফতরের। আবার পুনর্বাসন দেওয়ার এক্তিয়ার নগরোন্নয়ন দফতরের। কারণ তারাই বিধাননগরের সব জমির মালিক। তাঁর কথায়, ‘‘রেলের আধিকারিকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, পুরসভা, সেচ দফতর, নগরোন্নয়ন দফতর-সহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে সমাধানসূত্র বার করতে।’’
এর পরে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর নেতৃত্বে কমিটি তৈরি করে জবরদখলের জট ছাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। সুজিতবাবু বলেন, ‘‘তিনটি বৈঠক হয়েছিল। কী ভাবে এত বড় কাজ শুরু করা যায়, তা নিয়ে সবাই ভেবেছেন। যাঁদের সত্যিই প্রাপ্য ছিল, তাঁরা ঘর পেয়েছেন।’’
নগরোন্নয়ন দফতরের যে জমিতে জবরদখলকারীদের পুনর্বাসন হয়েছে, সেখানে গিয়ে দেখা গেল, ইতিমধ্যেই থাকতে শুরু করেছেন লোকজন। অগস্টেই তাঁরা ঘরের চাবি পেয়েছেন। তৈরি করে দেওয়া হয়েছে দোকানও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy