—প্রতীকী চিত্র।
এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ তুলল পরিবার। যদিও পুলিশের দাবি, এই অভিযোগের পক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ রবিবার পর্যন্ত তাদের হাতে আসেনি। সব মিলিয়ে ঘটনাটি ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য।
পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার মহেশতলা পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পিছন থেকে তাপস মণ্ডল (৩৬) নামে ওই যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। তাপসের বাড়ি ৩০ নম্বর ওয়ার্ডেরই দৌলতপুর কাছারিবাগান এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, গভীর রাতে হাসপাতালে মারা যান ওই যুবক। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাপসের মাথার পিছনে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।
যদিও ওই যুবকের পরিজনদের অভিযোগ, তাপসের মাথার পিছনে লোহার রড দিয়ে মারা হয়েছিল। এই ঘটনায় তাঁর পাঁচ সঙ্গীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক যোগ সামনে আসেনি।
তবে তদন্তে নেমে স্থানীয় এক মহিলার বয়ান লিপিবদ্ধ করেছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা তাপসের পরিচিত। পুলিশের কাছে তাঁর দাবি, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পিছনের গেট টপকে বেরোনোর সময়ে টাল সামলাতে না পেরে মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন তাপস। তার পরে ওই মহিলাই আশপাশের লোকজনকে ডেকে আনেন। তবে তিনি মারধরের ঘটনা দেখেননি বলেও দাবি করেছেন ওই মহিলা।
পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত চলছে। ওই যুবকের মেডিক্যাল রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখানে মাথার পিছনে আঘাত ছাড়া দেহে আর কোনও ক্ষতচিহ্নের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy