দুর্দশা: দমদম স্টেশন সংলগ্ন আন্ডারপাসে জমা জল পেরিয়েই যাতায়াত করতে হয় নিত্যযাত্রীদের। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।
বয়ে চলেছে নোংরা জল। তার উপর দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের। দমদম স্টেশন থেকে দমদম এলাকায় প্রবেশ করার মুখে আন্ডারপাসের ছবিটা এমনই। কয়েক মাস ধরে এমন অবস্থা চললেও পুরসভার তরফে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কোনও তৎপরতা চোখে পড়েনি বলে অভিযোগ পথচারী এবং স্থানীয়দের। সম্প্রতি দক্ষিণ দমদম পুরসভার পুর প্রতিনিধি ও আধিকারিকেরা পূর্ত দফতর, কেএমডিএ-র প্রতিনিধিদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দক্ষিণ দমদম পুরসভার এক চেয়ারম্যান পারিষদ জানিয়েছেন, দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে রেল দফতরকে চিঠি পাঠানো হবে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা অমল দাসের কথায়, ‘‘ওই সমস্যা নতুন নয়। এর আগেও এ ভাবে আন্ডারপাস নোংরা জলে ভরে থাকত। কয়েক বছর আগে স্থানীয় পুরসভা এবং রেল কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পরে কিছু কাজ করা হয়। তার পরে সমস্যা কমেছিল। তবে গত কয়েক মাস ধরে ফের জল জমে থাকছে।’’
ওই অঞ্চল দিয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ লোক যাতায়াত করেন। পাশাপাশি, স্টেশনের কাছেই রয়েছে বাজার। সেখান থেকে নাগেরবাজার অভিমুখে অটো স্ট্যান্ড রয়েছে। রক্তিম অধিকারী নামে এক নিত্যযাত্রী জানান, কর্মসূত্রে তাঁকে দমদম দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। আন্ডারপাস পার করে প্রতিদিন অটো ধরতে গিয়ে নোংরা জলের উপর দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জুতো, পোশাক। পথচারীদের অভিযোগ, কয়েক মাস ধরে এমন অবস্থা চললেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। নিত্যযাত্রীদের একাংশের দাবি, এই অবস্থার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য স্থায়ী সমাধান করা হোক।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ সঞ্জয় দাস জানান, জায়গাটি ইতিমধ্যেই
পরিদর্শন করা হয়েছে। রেলের নিকাশির জল এসেই আন্ডারপাসে জমে থাকছে। জায়গাটি রেল দফতরের অধীনে। পরিদর্শনে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, নিকাশির কোনও পাইপে বিপত্তির জেরে এমন ঘটনা ঘটছে। এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করতে রেলকে চিঠি পাঠাতে চলেছে পুরসভা। যদিও পুরসভা সূত্রের খবর, এর আগেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। রেল দফতরের আধিকারিকেরা পরিদর্শনও করেছেন। ফের পুরসভা দ্রুত পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে রেল দফতরকে চিঠি পাঠাতে চলেছে।
রেল দফতর সূত্রের খবর, রেললাইনের জল চুঁইয়ে আন্ডারপাসে পড়ছে। প্রতি বছর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়। এ বছরেও দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, রেললাইনে জমা জল সরাতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy