প্রতীকী ছবি
উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধাকে প্রতিবেশীদের চাপে বাড়িতে রাখতে না পারা, একাধিক হাসপাতাল ঘুরেও শয্যা না মেলা এবং পরে তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় এ বার অভিযোগ দায়ের হল স্বাস্থ্য কমিশনে। রবিবার অভিযোগটি দায়ের করে বৃদ্ধার নাতনি বলেন, “সরকার কড়া হাতে ব্যবস্থা নিক। দিদিমাকে বাড়িতে রাখতে পারলাম না, তিনি শুক্রবার মারা গেলেও এ দিন রাত পর্যন্ত তাঁকে দাহ করা যায়নি।”
ওই নাতনির দাবি, তাঁর বছর সত্তরের দিদিমার ডায়াবিটিসের সমস্যা ছিল। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক, তাঁর স্বামী এবং তাঁর চিকিৎসক ভাই দিদিমাকে দেখতেন। গত ৩১ জুলাই দিদিমা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ২ অগস্ট তাঁর করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। এর পরে হাসপাতাল উপসর্গহীন বৃদ্ধাকে ছুটি দিয়ে বাড়িতে রাখার কথা বললেও প্রতিবেশীদের চাপে তা করা যায়নি পুলিশ ডেকেও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। পরে তাঁকে ফের ভর্তি করাতে শয্যার খোঁজে হয়রান হতে হয় বলেও পরিবারের দাবি। পরে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে তাঁকে ভর্তি করানো হলে শুক্রবার সেখানেই তিনি মারা যান।
স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযোগটির তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, “ওই চিকিৎসক পরিবারের সঙ্গে দ্রুত কথা বলে সব তথ্য নেওয়া হবে।”
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy