ছবি: পিটিআই।
ই-পাস ব্যবস্থাই চালু হচ্ছে মেট্রোয়। শুক্রবার মেট্রোর সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের দ্বিতীয় দফার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর শুধুমাত্র জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে মেট্রো চালানো হতে পারে। তাঁদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড দেখালে মেট্রোয় প্রবেশের ছাড়পত্র দেওয়া যায় কি না, তা ভাবা হচ্ছে। মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘রাজ্য প্রশাসন ই-পাসের প্রস্তাব দিয়েছে। এ নিয়ে দু’পক্ষের আলোচনাও হয়েছে।’’
মেট্রো সূত্রের খবর, জনসাধারণের জন্য পরিষেবা শুরু হবে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে। মেট্রোর ই-পাস পেতে অন্তত ১২ ঘণ্টা আগে ‘বুকিং’ সেরে ফেলতে হবে বলে রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, একটি নির্দিষ্ট লিঙ্কের মাধ্যমে ই-পাস দেওয়া হবে। ওই লিঙ্কে ক্লিক করে যাত্রীকে নিজের নাম, পরিচয়, যাত্রার সময় এবং কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশনে তিনি যেতে চান, তা জানাতে হবে। এর পরে ই-পাস পাঠানো হবে সেই যাত্রীর মোবাইলে, যা আদতে একটি কিউ আর কোড। ওই কোডের রং দেখেই মেট্রোর প্রবেশপথে থাকা রক্ষীরা বুঝতে পারবেন, সেই যাত্রীর কাছে মেট্রোযাত্রার বৈধ অনুমতি রয়েছে কি না। কোন সময়ে কী রঙের কিউ আর কোড দেওয়া হবে, তা গোপন রাখা হবে। নির্দিষ্ট ‘স্লট’ শুরু হওয়ার আগে প্রবেশপথের রক্ষীদের শুধু তা জানানো হবে।
দূরত্ব-বিধি মেনে চলার জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রীকে ই-পাস দেওয়ার বিষয়টি একটি ‘অ্যালগোরিদম’ বা গাণিতিক মডেলের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। যাত্রীদের কাছে ওই লিঙ্ক পৌঁছে দিতে মেট্রোর নিজস্ব ওয়েবসাইট, অ্যাপ এবং রাজ্য পরিবহণ দফতরের ‘পথদিশা’ অ্যাপটি কাজে লাগানো হবে। আপাতত উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোতেই এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। ইস্ট-ওয়েস্ট এখনই খুলছে না। স্টেশনের প্রবেশপথে মেট্রো রেল পুলিশের কর্মীরা কিউ আর কোড পরীক্ষা করবেন। তিনটি স্টেশন ছাড়া বাকি সব ক’টি স্টেশনেই আপাতত যাত্রীদের নির্দিষ্ট একটি প্রবেশপথ দিয়েই ভিতরে ঢুকতে হবে। তবে দমদম, এসপ্লানেড ও মহানায়ক উত্তমকুমারে এই নিয়ম থাকছে না। পার্ক স্ট্রিটে কী করা হবে, তা এখনও স্থির হয়নি। প্রতিটি স্টেশনেই ঢোকার আগে যাত্রীদের সুড়ঙ্গের মতো বিশেষ পরিসর পেরিয়ে আসতে হবে। সেখানে ইনফ্রারেড ক্যামেরার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে যাত্রীদের দেহের তাপমাত্রা মাপা হবে। সংক্রমণ ঠেকাতে কপালে থার্মাল গান দিয়ে তাপমাত্রা না মাপার বিষয়টিতে জোর দিতে চাইছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
কী ভাবে মেট্রো যাত্রা
• মেট্রোর অ্যাপ, ওয়েবসাইট ও পথদিশা অ্যাপে মিলবে ই-পাসের লিঙ্ক।
• পাস বুক করা যাবে ১২ ঘণ্টা আগে থেকে।
• সার্ভার নির্দিষ্ট রঙের কিউআর কোড পাস হিসেবে পাঠাবে।
• আটটি কামরার একটি রেকে গড়ে ৪০০ যাত্রী উঠতে পারবেন।
• আপাতত দিনে ১১০টি ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষের।
স্টেশনে ঢোকার পরে অ্যালকোহলের সাহায্যে হাত জীবাণুমুক্ত করতে হবে যাত্রীদের। আপাতত রেক-পিছু ৪০০ জন যাত্রী নিয়ে পরিষেবা শুরু করতে চাইছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে মোট ৫৫ জোড়া বা ১১০টি ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১৫ মিনিট অন্তর, ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১০ মিনিট অন্তর, সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ৪টে পর্যন্ত ১৫ মিনিট অন্তর, সাড়ে ৪টে থেকে ৭টা পর্যন্ত ১০ মিনিট অন্তর এবং সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১০ মিনিট অন্তর ট্রেন চলতে পারে বলে খবর। কখন কী ব্যবধানে মেট্রো চলছে, সেই তথ্য মেট্রোর নিজস্ব অ্যাপে পাওয়া যাবে। নতুন ব্যবস্থায় স্মার্টফোন নেই, এমন যাত্রীরা সমস্যায় পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা। মেট্রো কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, পরিস্থিতি দেখে নিয়ে ধাপে ধাপে পরিষেবা স্বাভাবিক করা হবে।
আরও পড়ুন: কলকাতা মেট্রো চললেও ইস্ট-ওয়েস্ট নিয়ে সিদ্ধান্ত এখনই নয়
আরও পড়ুন: আরও এক রুটে ট্রাম চালু
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy