নিহত দম্পতি।
ভবানীপুরে প্রৌঢ় দম্পতির খুনি কে? তা দ্রুত তদন্ত করে বের করা হবে বলে আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নিহত দম্পতির কন্যার সঙ্গে ফোনে কথা হয় মমতার। তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী এই আশ্বাস দেন এবং জানান, খুনের ঘটনায় দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। যদিও কারা, কোন পথে তদন্ত করবে, তা এখনও স্পষ্ট করেননি মমতা। নিহত দম্পতির পরিবারের অনুমান, যথা সময়ে তিনি এ বিষয়ে জানাবেন।
সোমবার ভরসন্ধ্যায় ভবানীপুরে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ঢিল-ছোড়া দূরত্বে এক প্রৌঢ় দম্পতিকে বাড়িতে ঢুকে খুন করার ঘটনায় বিস্মিত হয়েছিলেন মহানগরবাসী। ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জি রোডের ওই ফ্ল্যাট থেকে সোমবার সন্ধ্যায় উদ্ধার হয় দম্পতির রক্তাক্ত দেহ। পুলিশ সূত্রের খবর, অশোক শাহ এবং তাঁর স্ত্রী রশ্মিতার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রাথমিক ভাবে ধারণা, তাঁদের খুন করা হয়েছে। ওই দম্পতির তিন মেয়ে রয়েছে। অবাক হওয়ার আরও বড় কারণ, খুন করে সবার নজর এড়িয়ে কী ভাবে পালিয়ে গেলেন আততায়ী? ফলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি পরিচিত কেউ-ই এই ঘটনায় জড়িত? প্রশ্ন উঠলেও অবশ্য উত্তর পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রৌঢ় দম্পতির কন্যাও সন্দেহভাজন কারও নাম জানাতে পারেননি। এর মধ্যেই এল মুখ্যমন্ত্রীর ফোন। নিহত দম্পতির কন্যাকে তিনি জানিয়েছেন, খুনি কে তা খুঁজে বার করবেন তদন্তকারীরা। তিনি যেন পুলিশের উপর ভরসা রাখেন।
সোমবারের এই খুনের ঘটনায় ভবানীপুর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগেই বাড়ি বিক্রি নিয়ে এক ক্রেতার সঙ্গে সামান্য বচসা হয় ওই দম্পতির। বাড়ি বিক্রির মূল্য হিসাবে ৬০ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন তাঁরা। সেই টাকা দিতে রাজি হননি ক্রেতা। খুনের ঘটনার নেপথ্যে বাড়ি বিক্রি সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy