Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
banshdroni

Suicide: রক্তে ভাসছিল ঘর, পাশে অচৈতন্য বাবা-মা, বাঁশদ্রোণীতে পেটে ছুরি বসিয়ে আত্মঘাতী ছাত্র

বাড়ির ভিতর থেকে আর্তনাদ ভেসে আসায় প্রতিবেশীরা ছুটে যান। তাঁরা দেখেন মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ছেলেটির দেহ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ ১২:২৩
Share: Save:

অনেক ক্ষণ ধরেই চিৎকার-চেঁচামেচির আওয়াজ পাচ্ছিলেন প্রতিবেশীরা। বাবা-মায়ের সঙ্গে ছেলের নিত্য এমন ঝামেলা লেগে থাকত বলে খুব একটা আমল দেননি কেউই। কিন্তু তার পর মুহূর্তে যা ঘটেছে তা কল্পনাও করতে পারেননি প্রতিবেশীরা।

বাড়ির ভিতর থেকে একটু পরে আর্তনাদ ভেসে আসায় চমকে ওঠেন প্রতিবেশীরা। কয়েক জন ছুটে যান ওই বাড়িতে। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ছেলেটির দেহ। পাশেই সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তাঁর বাবা-মা। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁশদ্রোণী থানার প্রগতি পার্কে।

স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে খবর, বছর তেইশের রবীন দেবনাথ দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। দু’বার দ্বাদশ শ্রেণিতে অকৃতকার্য হওয়ায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। বেসরকারি ভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। রবীনের বাবা সুশোভন দেবনাথের সম্প্রতি চাকরি চলে যায়। মা আয়ার কাজ করেন। ফলে সংসারে আর্থিক টানাটানিও চলছিল। যার জেরে প্রায়শই অশান্তি লেগে থাকত। প্রতিবেশীদের দাবি, পড়াশোনা নিয়ে রবীনের সঙ্গে তাঁর বাবা-মায়ের নিত্যদিন ঝামেলা হত।

মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেও রবীনের সঙ্গে বাবা-মায়ের ঝগড়া হয়। সেই ঘটনার পরিণতি যে এতটা চরম পর্যায়ে পৌঁছবে তা কল্পনা করতে পারেননি, এমনই জানিয়েছেন এক প্রতিবেশী। প্রতিবেশীদের দাবি, বাড়িতে রাখা একটা ছুরি নিজের পেটে ঢুকিয়ে দেন রবীন। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় বাঁশদ্রোণী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে কী কারণে এমন ঘটনা ঘটনালেন রবীন। তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, মানসিক অবসাদেই এমন কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারেন ওই যুবক। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

banshdroni Suicide Student
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy