অব্যবস্থা: কোথাও ভেঙে গিয়েছে বসার বেঞ্চ, কোথাও আবার হেলে গিয়েছে বাতিস্তম্ভ। এমনই অবস্থা মোহরকুঞ্জের। বুধবার। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।
বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে মিউজ়িক্যাল ফাউন্টেন (সুরেলা ঝর্না)। দীর্ঘ দিন ধরে খারাপ মিউজ়িক সিস্টেমও। তাই আগের মতো আর বাজছে না রবীন্দ্রসঙ্গীত, সকালে হাঁটতে এসে যা শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন প্রাতর্ভ্রমণকারীরা। ক্যাথিড্রাল রোডে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের পাশে ‘সিটিজ়েন্স পার্ক’ বা অধুনা মোহরকুঞ্জের এখন এমনই বেহাল অবস্থা!
২০০৫ সালে তৈরি হয়েছিল ‘সিটিজ়েন্স পার্ক’। ২০০৭ সালে নতুন করে সেই উদ্যানের নাম দেওয়া হয় ‘মোহরকুঞ্জ’ (প্রয়াত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকনাম অনুসারে)। প্রথম দিকে ওই উদ্যানের পরিচর্যা ঠিকঠাক ভাবে হলেও বছর কয়েক আগে সেটির রক্ষণাবেক্ষণের ভার একটি বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। কিন্তু অভিযোগ, বেসরকারি সংস্থার হাতে যাওয়ার পর থেকেই উদ্যানের সর্বত্র অযত্ন ও অবহেলার ছাপ চোখে পড়তে শুরু করে। গত বছর লকডাউন শুরু হওয়ার মাসখানেক আগে পুরসভা ফের উদ্যানটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিজেদের হাতে নেয়। কিন্তু অভিযোগ, পুরসভা দায়িত্ব নেওয়ার পরেও মোহরকুঞ্জের বেহাল অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি।
মোহরকুঞ্জে গিয়ে দেখা গেল, মিউজ়িক সিস্টেমগুলি ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। একটি সুরেলা ঝর্নাও বিকল। ওই উদ্যানে রোজই প্রচুর প্রাতর্ভ্রমণকারী আসেন। সেখানে হাঁটার পাশাপাশি শারীরচর্চাও করেন তাঁরা। এমনই এক জন, দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের বাসিন্দা রমেন বণিকের অভিযোগ, ‘‘সকালটাই বলে দেয়, দিন কেমন যাবে। এখানে গান বাজানোর সব রকম সরঞ্জাম রয়েছে। সকালে গান শুনলে মনটাও ভাল থাকে। পুর প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ, মিউজ়িক সিস্টেমগুলি পুনরায় যাতে চালু করা যায়, তার ব্যবস্থা করা হোক।’’ ওই উদ্যানে ডাস্টবিনগুলির বেহাল দশাও চোখে পড়ার মতো। দেখা গেল, বেশ কিছু ডাস্টবিন উল্টে পড়ে রয়েছে।
মোহরকুঞ্জের একাংশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য রয়েছে একটি মুক্ত মঞ্চ। সেই মঞ্চের সামনে একটি খোলা মাঠ রয়েছে। প্রাতর্ভ্রমণকারীদের অভিযোগ, ‘‘ওই মুক্ত মঞ্চের সামনে অনেক পেরেক পড়ে থাকে। সকালে হাঁটার সময়ে অনেকেরই পায়ে সেই পেরেক ফুটে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটছে।’’
এ বিষয়ে পুরসভার উদ্যান বিভাগের ডিজি দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘গত বছর লকডাউন শুরু হওয়ার দিন কয়েক আগে বেসরকারি সংস্থার হাত থেকে মোহরকুঞ্জের দেখভালের দায়িত্ব পুরসভা নেয়। কিন্তু লকডাউন শুরু হতেই রক্ষণাবেক্ষণের কাজ থমকে যায়। এখনও বেশ কিছু কাজ বাকি রয়েছে। মিউজ়িক্যাল ফাউন্টেন ও মিউজ়িক সিস্টেম যাতে খুব শিগগিরই চালু করা যায়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ উদ্যানের বাকি সমস্যার সমাধানেও গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন দেবাশিসবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy