Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Chowringhee

গৃহত্যাগী যোগীর সাধনপীঠ, হাতির পিঠে হেস্টিংসের বাঘশিকারের জঙ্গলই আজকের চৌরঙ্গি

ভাগীরথীর সেই আঘাটায় ডিঙি থামালেন চৌরঙ্গীনাথ। হরিণশাবককে অনুসরণ করে ঢুকে পড়লেন গভীর বনে। এই শাবকও কিন্তু তাঁর কাছছাড়া হল না। সাধকের বিশ্বাস হল, এই হরিণ আসলে ঈশ্বরের প্রতিরূপ। ঈশ্বরই হরিণের রূপ ধরে তাঁকে সংসারের মোহমুক্ত করলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২০ ১০:০৯
Share: Save:
০১ ১৮
শংকরের কলম থেকে ময়দানের সবুজ। বাঙালির জীবনে চৌরঙ্গি মানেই রোমান্টিকতা। জানেন কি আজ থেকে কয়েকশো বছর আগেও এই এলাকা ছিল ঘন জঙ্গলে ঢাকা। ব্রিটিশ সাহেবরা এখানে আসতেন হাতির পিঠে চেপে বাঘশিকারে। তারও আগে জনবসতিহীন এই প্রান্তর ছিল যোগীদের সাধনার গুপ্তস্থান।

শংকরের কলম থেকে ময়দানের সবুজ। বাঙালির জীবনে চৌরঙ্গি মানেই রোমান্টিকতা। জানেন কি আজ থেকে কয়েকশো বছর আগেও এই এলাকা ছিল ঘন জঙ্গলে ঢাকা। ব্রিটিশ সাহেবরা এখানে আসতেন হাতির পিঠে চেপে বাঘশিকারে। তারও আগে জনবসতিহীন এই প্রান্তর ছিল যোগীদের সাধনার গুপ্তস্থান।

০২ ১৮
সপ্তদশ শতকে বর্ধিষ্ণু গোবিন্দপুর অঞ্চলের দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্তে ছিল জঙ্গুলে চৌরঙ্গি। জঙ্গলের জন্য সাধারণ মানুষ এড়িয়ে চলত এই অঞ্চল। ঘন জঙ্গলের জন্য এখানে প্রবেশ করতে পারত না আধুনিকতা এবং সংস্কারও।

সপ্তদশ শতকে বর্ধিষ্ণু গোবিন্দপুর অঞ্চলের দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্তে ছিল জঙ্গুলে চৌরঙ্গি। জঙ্গলের জন্য সাধারণ মানুষ এড়িয়ে চলত এই অঞ্চল। ঘন জঙ্গলের জন্য এখানে প্রবেশ করতে পারত না আধুনিকতা এবং সংস্কারও।

০৩ ১৮
ষোড়শ শতকে এই জঙ্গলেই পা পড়ে নাথ সম্প্রদায়ের এক যোগীপুরুষের। তাঁর নাম ছিল জঙ্গলগিরি চৌরঙ্গীনাথ। বলা হয়, তাঁর নাম থেকেই এই স্থানের নামকরণ। অনেকেই মনে করেন, তাঁর সাধনাস্থল থেকেই গোড়াপত্তন হয় কালীঘাট মন্দিরের।

ষোড়শ শতকে এই জঙ্গলেই পা পড়ে নাথ সম্প্রদায়ের এক যোগীপুরুষের। তাঁর নাম ছিল জঙ্গলগিরি চৌরঙ্গীনাথ। বলা হয়, তাঁর নাম থেকেই এই স্থানের নামকরণ। অনেকেই মনে করেন, তাঁর সাধনাস্থল থেকেই গোড়াপত্তন হয় কালীঘাট মন্দিরের।

০৪ ১৮
তিনি শাক্ত না শৈব ছিলেন, তা নিয়ে কলকাতা-গবেষকরা এখনও দ্বিমত। কথিত, হুগলির এক প্রাচীন জনপদ থেকে তিনি এখানে এসে সাধনা করেছিলেন। কী ভাবে এবং কেন এসেছিলেন, সে আখ্যানও চমকপ্রদ।

তিনি শাক্ত না শৈব ছিলেন, তা নিয়ে কলকাতা-গবেষকরা এখনও দ্বিমত। কথিত, হুগলির এক প্রাচীন জনপদ থেকে তিনি এখানে এসে সাধনা করেছিলেন। কী ভাবে এবং কেন এসেছিলেন, সে আখ্যানও চমকপ্রদ।

০৫ ১৮
চৌরঙ্গীনাথের বাবা ছিলেন নাথ সম্প্রদায়ের গুরু। তিনি ছিলেন সংসারী শৈব যোগী। কিন্তু তাঁর ছেলের সংসারে মন ছিল না। তিনি আশৈশব ঘর ছেড়ে বাইরেই মুক্তির স্বাদ খুঁজে পেতেন। দিন কাটত বনে বনে।

চৌরঙ্গীনাথের বাবা ছিলেন নাথ সম্প্রদায়ের গুরু। তিনি ছিলেন সংসারী শৈব যোগী। কিন্তু তাঁর ছেলের সংসারে মন ছিল না। তিনি আশৈশব ঘর ছেড়ে বাইরেই মুক্তির স্বাদ খুঁজে পেতেন। দিন কাটত বনে বনে।

০৬ ১৮
বনের পশুপাখিদের কাছাকাছি থেকে তিনি ইষ্টস্মরণ করতেন। এক দিন বন থেকে ঘরে ফেরার সময় তাঁর সঙ্গী হল এক হরিণশাবক। কিছুতেই সে চৌরঙ্গীনাথকে ছেড়ে বনে ফিরে গেল না। ক্রমে সেই শাবকই হয়ে উঠল চৌরঙ্গীনাথের ধ্যানজ্ঞান।

বনের পশুপাখিদের কাছাকাছি থেকে তিনি ইষ্টস্মরণ করতেন। এক দিন বন থেকে ঘরে ফেরার সময় তাঁর সঙ্গী হল এক হরিণশাবক। কিছুতেই সে চৌরঙ্গীনাথকে ছেড়ে বনে ফিরে গেল না। ক্রমে সেই শাবকই হয়ে উঠল চৌরঙ্গীনাথের ধ্যানজ্ঞান।

০৭ ১৮
ছেলের মন সংসারে ফেরাতে চৌরঙ্গীনাথের বাবা তাঁর বিয়ে দিলেন। কিন্তু কোনও লাভ হল না। ছেলের মন ঘরের দিকে ফিরল না। বিয়ের পরেও তাঁর দিন কাটতে লাগল হরিণশাবকের পরিচর্যা করেই। স্বামীর এই আচরণে ক্ষুব্ধ চৌরঙ্গীনাথের স্ত্রী একদিন সেই হরিণকে সরিয়ে ফেলবে বলে ঠিক করলেন।

ছেলের মন সংসারে ফেরাতে চৌরঙ্গীনাথের বাবা তাঁর বিয়ে দিলেন। কিন্তু কোনও লাভ হল না। ছেলের মন ঘরের দিকে ফিরল না। বিয়ের পরেও তাঁর দিন কাটতে লাগল হরিণশাবকের পরিচর্যা করেই। স্বামীর এই আচরণে ক্ষুব্ধ চৌরঙ্গীনাথের স্ত্রী একদিন সেই হরিণকে সরিয়ে ফেলবে বলে ঠিক করলেন।

০৮ ১৮
নিজের ভাইয়ের সাহায্যে সেই শাবককে এক জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে এলেন চৌরঙ্গীনাথের স্ত্রী। কিন্তু এতে ফল হল আরও বিরূপ। চৌরঙ্গীনাথ ঠিক করলেন তিনি পোষ্যের খোঁজে ঘর ছাড়বেন। এক দিন ছোট্ট ডিঙি সম্বল করে তিনি ভেসে পড়লেন ভাগীরথীতে।

নিজের ভাইয়ের সাহায্যে সেই শাবককে এক জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে এলেন চৌরঙ্গীনাথের স্ত্রী। কিন্তু এতে ফল হল আরও বিরূপ। চৌরঙ্গীনাথ ঠিক করলেন তিনি পোষ্যের খোঁজে ঘর ছাড়বেন। এক দিন ছোট্ট ডিঙি সম্বল করে তিনি ভেসে পড়লেন ভাগীরথীতে।

০৯ ১৮
তিনি জানতেনও না কোন বনে তাঁর হরিণশাবককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি উদ্দেশ্যহীন ভাবে ডিঙি ভাসালেন দক্ষিণ দিক বরাবর। কত দিন ধরে ভেসে থাকলেন, নিজেও জানতেন না। এক দিন হঠাৎই নদীর পারে ঘন বনের মধ্যে দেখলেন একটি হরিণশাবককে। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস হল, এটাই তাঁর হারিয়ে যাওয়া পোষ্য।

তিনি জানতেনও না কোন বনে তাঁর হরিণশাবককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি উদ্দেশ্যহীন ভাবে ডিঙি ভাসালেন দক্ষিণ দিক বরাবর। কত দিন ধরে ভেসে থাকলেন, নিজেও জানতেন না। এক দিন হঠাৎই নদীর পারে ঘন বনের মধ্যে দেখলেন একটি হরিণশাবককে। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস হল, এটাই তাঁর হারিয়ে যাওয়া পোষ্য।

১০ ১৮
ভাগীরথীর সেই আঘাটায় ডিঙি থামালেন চৌরঙ্গীনাথ। হরিণশাবককে অনুসরণ করে ঢুকে পড়লেন গভীর বনে। এই শাবকও কিন্তু তাঁর কাছছাড়া হল না। সাধকের বিশ্বাস হল, এই হরিণ আসলে ঈশ্বরের প্রতিরূপ। ঈশ্বরই হরিণের রূপ ধরে তাঁকে সংসারের মোহমুক্ত করলেন।

ভাগীরথীর সেই আঘাটায় ডিঙি থামালেন চৌরঙ্গীনাথ। হরিণশাবককে অনুসরণ করে ঢুকে পড়লেন গভীর বনে। এই শাবকও কিন্তু তাঁর কাছছাড়া হল না। সাধকের বিশ্বাস হল, এই হরিণ আসলে ঈশ্বরের প্রতিরূপ। ঈশ্বরই হরিণের রূপ ধরে তাঁকে সংসারের মোহমুক্ত করলেন।

১১ ১৮
এর পর ওই জঙ্গলেই পাতার কুটির বেঁধে থাকতে শুরু করলেন চৌরঙ্গীনাথ। জনহীন সেই বনে তাঁর নিত্যসঙ্গী ছিল ওই হরিণশাবক। দিনের অধিকাংশ সময়ে তিনি পর্ণকুটিরের সামনে ধ্যানস্থ থাকতেন। তাঁর ধ্যানমগ্ন রূপ দেখেছিলেন কিছু শিকারি আদিবাসী। খাবারের সন্ধানে জঙ্গলে ঢোকা ওই আদিবাসীদের মনে হয়েছিল, তাঁদের সামনে ধ্যানস্থ রয়েছেন স্বয়ং মহাদেব।

এর পর ওই জঙ্গলেই পাতার কুটির বেঁধে থাকতে শুরু করলেন চৌরঙ্গীনাথ। জনহীন সেই বনে তাঁর নিত্যসঙ্গী ছিল ওই হরিণশাবক। দিনের অধিকাংশ সময়ে তিনি পর্ণকুটিরের সামনে ধ্যানস্থ থাকতেন। তাঁর ধ্যানমগ্ন রূপ দেখেছিলেন কিছু শিকারি আদিবাসী। খাবারের সন্ধানে জঙ্গলে ঢোকা ওই আদিবাসীদের মনে হয়েছিল, তাঁদের সামনে ধ্যানস্থ রয়েছেন স্বয়ং মহাদেব।

১২ ১৮
ওই আদিবাসীদের মুখেই যোগী চৌরঙ্গীনাথের খবর ছড়িয়ে পড়ে। ক্রমে তাঁর একটি দু’টি করে ভক্ত বাড়তে থাকে। বনের মধ্যে যোগীর পর্ণকুটির ধীরে ধীরে আশ্রমের রূপ নেয়। তাঁর আশ্রমের বনসীমার পূর্ব দিকের গ্রামে বসবাস ছিল এক পর্তুগিজ দস্যুর। এক বার তার বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই হয় চৌরঙ্গীনাথের অনুগামীদের।

ওই আদিবাসীদের মুখেই যোগী চৌরঙ্গীনাথের খবর ছড়িয়ে পড়ে। ক্রমে তাঁর একটি দু’টি করে ভক্ত বাড়তে থাকে। বনের মধ্যে যোগীর পর্ণকুটির ধীরে ধীরে আশ্রমের রূপ নেয়। তাঁর আশ্রমের বনসীমার পূর্ব দিকের গ্রামে বসবাস ছিল এক পর্তুগিজ দস্যুর। এক বার তার বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই হয় চৌরঙ্গীনাথের অনুগামীদের।

১৩ ১৮
সেই লড়াইয়ে জয় হয় চৌরঙ্গীনাথের ভক্তদেরই। তাঁদের বিশ্বাস হয় যোগীপুরুষের তপস্যাসিদ্ধবলেই জয়ী হয়েছেন তাঁরা। এর পর আরও ছড়িয়ে পড়ে যোগীপুরুষ চৌরঙ্গীনাথের নামমাহাত্ম্য। সপ্তদশ শতকের প্রথম ভাগে মৃত্যু হয় এই সংসারত্যাগী সাধকের।

সেই লড়াইয়ে জয় হয় চৌরঙ্গীনাথের ভক্তদেরই। তাঁদের বিশ্বাস হয় যোগীপুরুষের তপস্যাসিদ্ধবলেই জয়ী হয়েছেন তাঁরা। এর পর আরও ছড়িয়ে পড়ে যোগীপুরুষ চৌরঙ্গীনাথের নামমাহাত্ম্য। সপ্তদশ শতকের প্রথম ভাগে মৃত্যু হয় এই সংসারত্যাগী সাধকের।

১৪ ১৮
চৌরঙ্গি-র নামকরণের পিছনে এই সাধকের প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ক্যাথলিন ব্লিচেডেন। তাঁর ‘ক্যালকাটা, পাস্ট অ্যান্ড প্রেজেন্ট’ বইয়ে। তবে তাঁর সঙ্গে সহমত নন প্রাচ্যের বহু গবেষক। কলকাতা-গবেষক এ কে রাম যেমন ভিন্নমত প্রকাশ করেন এ বিষয়ে। তিনি মনে করেন, একান্ন সতীপীঠের অন্যতম কালীঘাটে দেবীর যে রূপ, সেই চিরাঙ্গী বা চেরাঙ্গী কালী থেকেই জনপদের নাম হয়েছে, চৌরঙ্গী বা চৌরঙ্গি।

চৌরঙ্গি-র নামকরণের পিছনে এই সাধকের প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ক্যাথলিন ব্লিচেডেন। তাঁর ‘ক্যালকাটা, পাস্ট অ্যান্ড প্রেজেন্ট’ বইয়ে। তবে তাঁর সঙ্গে সহমত নন প্রাচ্যের বহু গবেষক। কলকাতা-গবেষক এ কে রাম যেমন ভিন্নমত প্রকাশ করেন এ বিষয়ে। তিনি মনে করেন, একান্ন সতীপীঠের অন্যতম কালীঘাটে দেবীর যে রূপ, সেই চিরাঙ্গী বা চেরাঙ্গী কালী থেকেই জনপদের নাম হয়েছে, চৌরঙ্গী বা চৌরঙ্গি।

১৫ ১৮
কলকাতায় ব্রিটিশ উপনিবেশ গোড়াপত্তনের পরেও দীর্ঘ সময় পাণ্ডববর্জিত ছিল চৌরঙ্গি। বলা হয়, হাতির পিঠে চেপে এই জঙ্গলে বাঘ শিকারে আসতেন ওয়ারেন হেস্টিংস। তবে তাঁর সময়ের কিছু আগে থেকে, অষ্টাদশ শতকের শুরু থেকেই চৌরঙ্গিতে ধীরে ধীরে ঢুকতে থাকতে আধুনিকতার বাতাস।

কলকাতায় ব্রিটিশ উপনিবেশ গোড়াপত্তনের পরেও দীর্ঘ সময় পাণ্ডববর্জিত ছিল চৌরঙ্গি। বলা হয়, হাতির পিঠে চেপে এই জঙ্গলে বাঘ শিকারে আসতেন ওয়ারেন হেস্টিংস। তবে তাঁর সময়ের কিছু আগে থেকে, অষ্টাদশ শতকের শুরু থেকেই চৌরঙ্গিতে ধীরে ধীরে ঢুকতে থাকতে আধুনিকতার বাতাস।

১৬ ১৮
১৭০০ খ্রিস্টাব্দে নতুন করে ফোর্ট উইলিয়াম তৈরির সময় চৌরঙ্গির জঙ্গলের বড় অংশ কাটা হয়। তারপরে ধীরে ধীরে এই অঞ্চলের আমূল পরিবর্তন হয়। অষ্টাদশ শতকের শেষ দিকে চৌরঙ্গি পুরোদস্তুর সাহেবপাড়া।

১৭০০ খ্রিস্টাব্দে নতুন করে ফোর্ট উইলিয়াম তৈরির সময় চৌরঙ্গির জঙ্গলের বড় অংশ কাটা হয়। তারপরে ধীরে ধীরে এই অঞ্চলের আমূল পরিবর্তন হয়। অষ্টাদশ শতকের শেষ দিকে চৌরঙ্গি পুরোদস্তুর সাহেবপাড়া।

১৭ ১৮
আজকের কলকাতার প্রাণকেন্দ্র চৌরঙ্গির আনাচেকানাচে এখনও উঁকি দেয় মধ্যযুগের ব্রিটিশ উপনিবেশের ইতিবৃত্ত। সেই মধ্যযুগের ঘন জঙ্গলের অন্ধকার কোথায় হারিয়ে গিয়েছে ইতিহাসের পৃষ্ঠায়।

আজকের কলকাতার প্রাণকেন্দ্র চৌরঙ্গির আনাচেকানাচে এখনও উঁকি দেয় মধ্যযুগের ব্রিটিশ উপনিবেশের ইতিবৃত্ত। সেই মধ্যযুগের ঘন জঙ্গলের অন্ধকার কোথায় হারিয়ে গিয়েছে ইতিহাসের পৃষ্ঠায়।

১৮ ১৮
ঋণস্বীকার: ক্যালকাটা, পাস্ট অ্যান্ড প্রেজেন্ট: ক্যাথলিন ব্লিচেডেন, হে নগর হে মহানগর: আবুল কাশেম রহিমউদ্দীন, কলিকাতার রাজপথ সমাজে ও সংস্কৃতিতে: অজিতকুমার বসু, কলিকাতা দর্পণ : রাধারমণ মিত্র।
(ছবি: আর্কাইভ এবং সোশ্যাল মিডিয়া)

ঋণস্বীকার: ক্যালকাটা, পাস্ট অ্যান্ড প্রেজেন্ট: ক্যাথলিন ব্লিচেডেন, হে নগর হে মহানগর: আবুল কাশেম রহিমউদ্দীন, কলিকাতার রাজপথ সমাজে ও সংস্কৃতিতে: অজিতকুমার বসু, কলিকাতা দর্পণ : রাধারমণ মিত্র। (ছবি: আর্কাইভ এবং সোশ্যাল মিডিয়া)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy