ধুন্ধুমার: ভিড়ের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র (চিহ্নিত) নিয়ে সেই দেহরক্ষী। বৃহস্পতিবার, আমডাঙা বিডিও অফিসের কাছে। নিজস্ব চিত্র
হাঁচি ঘিরে হুলস্থুল।
শাসক দলের লোকজন কেউ ছিলেন না। তবুও বেধে গেল গোলমাল। সূত্রপাত হাঁচি। বাম বিধায়কের দেহরক্ষীর গায়ের কাছে হেঁচে ফেলেছিলেন এক দলীয় কর্মী। আর তাই ঘিরেই বেধে গেল তুলকালাম। ঘটনাকে ঘিরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যানবাহনও থমকে গেল।
বৃহস্পতিবার বিকেলের ঘটনাস্থল জাতীয় সড়কের উপরে আমডাঙা, বিডিও অফিস। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, আমপানের ক্ষতিপূরণের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ করে এ দিন দলের তরফে আমডাঙা থানা ও বিডিও অফিসে স্মারকলিপি দিতে আসেন উত্তর দমদমের বিধায়ক, সিপিএমের তন্ময় ভট্টাচার্য। কর্মসূচি শেষ করে তিনি যখন গাড়িতে উঠতে যাবেন, তখনই ওই ঘটনা ঘটে। গোলমাল চলার সময়ে বিধায়কের দেহরক্ষী দলীয় বাম কর্মী-সমর্থকদের দিকে পিস্তল তাক করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, তন্ময়বাবু গাড়িতে ওঠার সময়ে ভিড়ের মধ্যে বামফ্রন্টের এক কর্মী হঠাৎ হেঁচে ফেলেন। কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, সেই সময়ে দেহরক্ষী ওই কর্মীকে ধাক্কা দিয়ে বলেন, “গায়ের উপরে হাঁচছেন কেন?” এর পরেই শুরু হয় গোলমাল। ওই কর্মীর গায়ে হাত তোলার প্রতিবাদ করে ওই দেহরক্ষীকে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে জনতা। আমডাঙা ব্লক অফিসের সামনে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে ওই ঘটনায় দাঁড়িয়ে পড়ে যানবাহন।
আরও পড়ুন: ডিবিও সড়ক লক্ষ্য চিনের, প্রহরায় সেনা
আরও পড়ুন: করোনা রোগীর খরচের ঊর্ধ্বসীমা কত হবে? বৈঠক চায় বেসরকারি হাসপাতাল
অভিযোগ, গোলমালের সময়ে তন্ময়বাবুর দেহরক্ষী, সাদা পোশাকের ওই পুলিশকর্মী কোমর থেকে পিস্তল বার করে বিক্ষোভকারীদের দিকে তাক করে গুলি করার হুমকি দেন। তবে তন্ময়বাবু ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তন্ময়বাবু এ দিন বলেন, “করোনা আতঙ্কে হাঁচির জেরে ভুল বোঝাবুঝিতেই এই ঘটনা।” ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান বারাসত জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy