শহিদ মিনারের নীচে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটানোর দাবিতে বসা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের জিয়ারুল মণ্ডল বাড়ি যাননি। ইদ পালন করলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চেই। ফাইল ছবি।
বাড়ির কথা মনে পড়ছিল ঠিকই, কিন্তু তা সত্ত্বেও ঘরে ফেরার তাগিদ ছিল না। বরং যাঁদের সঙ্গে রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে কাটিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেই শনিবার ইদের দিনটা কাটালেন চাকরিপ্রার্থীরা। নবম থেকে দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীরা, উচ্চ প্রাথমিক, রাজ্যের গ্রুপ-ডি এবং স্কুলের গ্রুপ-সি, গ্রুপ ডি ও টেট পাশ চাকরিপ্রার্থীরা বা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারীরা সম্প্রীতির বার্তা দিলেন। নমাজের পরে হল মিষ্টিমুখও।
গান্ধী মূর্তির নীচে বসা নবম থেকে দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীদের তরফে শাহিদুল্লাহ নামে এক যুবক বললেন, “গত বছর ইদে ধর্না মঞ্চে বসা ইলিয়াস বিশ্বাস নামে এক চাকরিপ্রার্থীর কাছে ফোন এসেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেছিলেন, দুশ্চিন্তা কোরো না। আমি দেখছি তোমাদের বিষয়টা।’’ আর এক চাকরিপ্রার্থী অভিষেক সেন বললেন, “এখনও রাস্তাতেই রয়েছি। প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি।’’ এ দিন মঞ্চে এসেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। অভিষেক জানান, তাঁরা সেলিমের কাছে আবেদন রেখেছেন, সরকার যদি অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে যোগ্যদের নিয়োগের ব্যবস্থা করে, তা হলে যেন কোনও আইনজীবী বিরোধিতা না করেন।
মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে বসা স্কুলের গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি পদে চাকরিপ্রার্থীদের এক জন বাবর আলি বললেন, “পকেটে টান। পরিজনদের জন্য ভাল কিছু যে কিনে নিয়ে যাব, তা আর হল না। তবে, নমাজের পরে সবাই কোলাকুলি করে সন্দেশ খেয়েছি।” সমীর খান নামে এক জন বলেন, “মঞ্চে থাকলেও পরিবারের সঙ্গে দেখা হল না।’’
শহিদ মিনারের নীচে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটানোর দাবিতে বসা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জিয়ারুল মণ্ডল বলেন, “বাড়ি যাইনি। ইদ পালন করলাম সংগ্রামী যৌথ মঞ্চেই।’’ মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, “জিয়ারুল যখন বলল, ইদে বাড়ি যাবে না, তখন মনে হয়েছিল, ৮০ দিনেরও বেশি সময় ধরে বসে থাকা এই পরিবারটা আরও বেশি আত্মীয়তার বন্ধনে জড়িয়ে যাচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy