Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
RG Kar Medical College and Hospital Incident

এ বার টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করাতে চায় সিবিআই, কোর্টে আর্জি

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ পরীক্ষা আগেই করিয়েছে সিবিআই। চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারেরও পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানো হয়েছে।

টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল।

টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৫৭
Share: Save:

এ বার টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করাতে চাইছে সিবিআই। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিজিৎকে। ওই একই অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর পলিগ্রাফ পরীক্ষা আগেই করিয়েছে সিবিআই। চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারেরও পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানো হয়েছে।

গত শনিবার অভিজিৎকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। ১৮ সেপ্টেম্বর, গত বুধবার তাঁকে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করে রাজ্য সরকার। প্রশাসনিক মহলের একাংশের দাবি, এটি একটি রুটিন পদক্ষেপ। কারণ কোনও সরকারি কর্মী গ্রেফতার হয়ে ৪৮ ঘণ্টার বেশি তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে থাকলে, নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে নিলম্বিত করতে হয়। শুক্রবার অভিজিতের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সন্দীপকেও আদালতে হাজির করানো হয়েছে। সেখানেই অভিজিতের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানোর আবেদন জানিয়েছে সিবিআই।

গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ উঠেছে। আদালতে সিবিআই দাবি করেছে, ঘটনার দিন চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে সন্দীপ এবং অভিজিতের মধ্যে মোবাইলে সবচেয়ে বেশি কথাবার্তা হয়েছিল। কল ডিটেলসে তা দেখা গিয়েছে। বেশ কয়েকটি ‘সন্দেহজনক’ মোবাইল নম্বরেও তাঁরা বার বার ফোন করে কথা বলেন। সে বিষয়ে আরও জেরা এবং অনুসন্ধান প্রয়োজন বলে দাবি করে সিবিআই। টালা থানা থেকে সিসি ক্যামেরার যে হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করা হয়েছে, তা পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন বলেও দাবি করে সিবিআই। এ বার অভিজিতের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করাতে চাইছে তারা।

পলিগ্রাফ পরীক্ষাকে ‘লাই ডিটেক্টর’ পরীক্ষাও বলে থাকেন কেউ কেউ। অর্থাৎ, অভিযুক্ত মিথ্যা বলছেন কি না, এই পরীক্ষার মাধ্যমে তা যাচাই করা হয়। সাধারণত জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে এই পরীক্ষা হয়। তবে এই পরীক্ষার ফলাফলে যা মিলবে, তা আদালতে প্রমাণ হিসাবে গ্রাহ্য হয় না। তদন্তের সুবিধার্থে এই পরীক্ষা করানো হয়ে থাকে। এই ধরনের পরীক্ষার জন্য যাঁর পরীক্ষা করানো হচ্ছে, তাঁর সম্মতি প্রয়োজন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy