Advertisement
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
Theft

গোয়েন্দা পুলিশের বাড়িতেই চুরি! লক্ষাধিক টাকার গয়না ও নগদ গায়েব

গোলাম আরও জানান, চুরি হয়েছে বুঝতে পেরেই সঙ্গে সঙ্গে যাদবপুর থানয় ফোন করেন তিনি। খবর পেয়েই থানা থেকে পুলিশ অফিসাররা আসেন। ব্যালকনির বাইরে নীচে পড়ে থাকা গোলামের থাকা একটি ব্যাগ এবং গয়নার সমস্ত খালি বাক্স উদ্ধার করেন তাঁরা।

ঘরে থাকা এই আলমারি খুলেই টাকা-গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোর। নিজস্ব চিত্র।

ঘরে থাকা এই আলমারি খুলেই টাকা-গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোর। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৯ ১০:৫৬
Share: Save:

খোদ পুলিশ কোয়ার্টারেই রাতদুপুরে চুরির ঘটনা ঘটল। ঘরের ভিতরে বাসিন্দারা থাকাকালীনই বারান্দার গ্রিল কেটে, আলামারি খুলে লক্ষাধিক টাকার গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দিল চোরেরা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে টালিগঞ্জের পুলিশ আবাসনে।

পুলিশ আবাসনের আই ব্লকে দোতলার ফ্ল্যাটে থাকেন রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশের সাব ইনস্পেকটর শেখ গোলাম মোস্তাফা। অন্য দিনের মতোই ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন তিনি। পাশের ঘরে মেয়ে শাবানা আখতারকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন গোলামের স্ত্রী সানোয়ারা বেগম। শুক্রবার সকালে গোলাম বলেন, “রাত ২টো নাগাদ শৌচাগারে যাওয়ার জন্য উঠি। ফিরে এসে বাইরের জানলার দিকে আওয়াজ পাই। সেই আওয়াজ শুনে গিয়ে দেখি ব্যালকনির গ্রিলের একটা অংশ কাটা। তখনই বুঝতে পারি ওখান দিয়ে চোর ঢোকার চেষ্টার করেছে। ঘরে ঢুকেই আলমারির দিকে তাকিয়ে দেখি সেটার একটা পাল্লা ভেজানো। তখনই সন্দেহ হয় কিছু একটা ঘটেছে। আলমারি খুলতেই চমকে উঠি। দেখি সমস্ত গয়না, টাকা গায়েব!”

গোলাম আরও জানান, চুরি হয়েছে বুঝতে পেরেই সঙ্গে সঙ্গে যাদবপুর থানয় ফোন করেন তিনি। খবর পেয়েই থানা থেকে পুলিশ অফিসাররা আসেন। ব্যালকনির বাইরে নীচে পড়ে থাকা গোলামের থাকা একটি ব্যাগ এবং গয়নার সমস্ত খালি বাক্স উদ্ধার করেন তাঁরা। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, গোলাম হোসেনের ফ্ল্যাটের ব্যালকমনির গ্রিল যেমন কাটা, তেমনই জানলার নেটের একটা অংশ কাটা। তাঁদের সন্দেহ, ব্যালকনির গ্রিল কেটে সেখান দিয়েই ঘরে ঢোকে চোর। আর এখানেই তদন্তকারীরা অবাক হচ্ছেন যে আলমারি থেকে গয়না এবং টাকা লোপাট হয়েছে, সেই আলামারিটা গোলামের বিছানা থেকে মাত্র ৬ ইঞ্চি দূরে। চোর এসে আলামারি খুলল, অথচ পাশেই বিছানায় শুয়ে ব্যাপারটা টের পাননি গোলাম! তদন্তকারীদের আরও সন্দেহ, এ ক্ষেত্রে হয়ত ঘুমপাড়ানি কোনও ওষুধ স্প্রে করে থাকতে পারে চোরেরা।

আরও পড়ুন: তৃণমূল ভাঙিয়ে লাভ কী, সংশয়ে বিজেপি

আরও পড়ুন: নারদ-কাণ্ডে চার্জশিট পুজোর আগেই, নাম থাকার সম্ভাবনা ৩ তৃণমূল সাংসদের, আপাতত রেহাই মুকুলের

গোলাম বলেন, “আলমারির চাবি থাকত পাশের একটি দেওয়াল আলমারিতে। সেটা খোলা থাকে। ওই আলামারি থেকেই চাবি নিয়েছে চোর। তার পর আলামারি খোলে। আলমারির ভিতরে থাকা একটি ব্যাগ থেকে লকারের চাবি বের করে এবং লকার থেকে গয়নাগাঁটি টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে।” এখানেই তদন্তকারীরা অবাক হচ্ছেন, চোর এত তথ্য জানল কী করে! আর পুলিশ আবাসনের মতো জায়গায় যেখানে গভীর রাতেও পুলিশকর্মীরা আসা-যাওয়া করেন সেখানে চোর এতটা বেপরোয়া হল কী করে।

গোলামের মেয়ে শাবানার সন্দেহ, গোটা ঘটনার সঙ্গে পরিচিত কারও যোগ থাকতে পারে। পুলিশও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না। যাদবপুর থানার এক আধিকারিক বলেন, “আমরা এলাকার সমস্ত সিসিটিভি খতিয়ে দেখছি। ওই সময় আবাসনের দিকে কারা গিয়েছে।” তবে এই চুরির ঘটনায় আবাসনের বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, সাধারণ মানুষকে পুলিশকে নিরাপত্তা দেয়, অথচ তাদের আবাসনেই কোনও নিরাপত্তা নেই!

অন্য বিষয়গুলি:

Theft Tollygunge Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy