বিচারপতি হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেন, এখনই চিকিৎসককে ফোন করে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এজলাসে হাজির হতে বলার জন্য। দেবাশিসের কাছে রোগীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিশদে জানতে চাওয়া হবে। প্রয়োজনে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়ে গ্রিন করিডোর করে শান্তিপ্রসাদকে আদালতে হাজির করানো হবে।
গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে দায়ের হওয়া মামলায় গরহাজির ছিলেন। আদালতে বলল, প্রয়োজনে রোগীকে ‘গ্রিন করিডোর’ করে আদালতে আনা হবে। সেই সঙ্গে যে চিকিৎসকের অধীনে রয়েছেন তাঁকে হাজির হতে হবে আদালতে। জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
২০১৬-য় নবম ও দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ কলকাতা হাই কোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়। অভিযোগ প্যানেলে নাম না থাকলেও চাকরি পেয়েছেন ছ’জন। সেই মামলার শুনানি চলছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তৎকালীন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও তৎকালীন প্রোগ্রামিং অফিসার সমরজিৎ আচার্যের কাছে আদালত জানতে চায়, কী ভাবে এই নিয়োগ হল? বুধবার শুনানিতে সমরজিৎ হাজির হলেও, গরহাজির ছিলেন শান্তিপ্রসাদ। তাঁর আইনজীবী আদালতকে জানান, মক্কেলের পিঠে ব্যথা। তাই তিনি হাজির হতে পারেননি।
এর পরই বিচারপতি বলেন, আদালতে শান্তিপ্রসাদের জমা দেওয়া চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন রয়েছে। সেই প্রেসক্রিপশনে লেখা আছে চিকিৎসকের ফোন নম্বর ও ই-মেল আইডি। শান্তিপ্রসাদের চিকিৎসকের নাম দেবাশিস রায়। তিনি হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেন যেন এখনই চিকিৎসককে ফোন করে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এজলাসে হাজির হতে বলা হয়। দেবাশিসের কাছে রোগীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিশদে জানতে চাওয়া হবে। প্রয়োজনে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়ে গ্রিন করিডোর করে শান্তিপ্রসাদকে আদালতে হাজির করানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy