Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Laskar-e-Taiba

Calcutta High Court: ফাঁসি রদের আর্জি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে লস্কর-ই-তইবা সদস্য! ঠাঁই হল প্রেসিডেন্সি জেলে

মঙ্গলবার কড়া নিরাপত্তায় দিল্লির তিহাড় জেল থেকে কলকাতায় আনা হল শেখ আবদুল নইম নামে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের ওই সদস্যকে।

২০১৭ সালে বনগাঁ আদালত মৃত্য়ুদণ্ড ঘোষণা করে আসামীর।

২০১৭ সালে বনগাঁ আদালত মৃত্য়ুদণ্ড ঘোষণা করে আসামীর। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২২ ১৩:৫৫
Share: Save:

ফাঁসির সাজার বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করলেন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা এক লস্কর-ই-তইবা সদস্য। মঙ্গলবার কড়া নিরাপত্তায় দিল্লির তিহাড় জেল থেকে কলকাতায় আনা হল শেখ আবদুল নইম নামে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের ওই সদস্যকে। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আপাতত কলকাতার একটি সংশোধনাগারে রাখতে হবে তাঁকে। সেখান থেকেই আদালতে এসে সশরীরে সওয়াল করবেন তিনি।

উল্লেখ্য, বেনাপোল-পেট্রোপোল সীমান্ত হয়ে ভারতে ঢুকেছিলেন নইম। ২০০৭ সালে বেআইনি ভাবে সীমান্ত থেকে ভারতে প্রবেশ করা নইমকে তার আরও তিন সঙ্গীর সঙ্গে গ্রেফতার করে বিএসএফ। ধৃতদের কাছ থেকে বিশাল পরিমাণ বিস্ফোরক পাওয়া যায়। জানা যায়, ভারতে বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন তাঁরা। মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা নইম ছাড়াও ওই দলে ছিলেন মুজফ্ফর আহমেদ নামে এক পাকিস্তানি। এ ছাড়া এক জন কাশ্মীরে বসবাসকারী এবং নইম নিজে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা বলে খবর। বনগাঁর অতিরিক্ত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন নইমকে। মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হয় তাঁর।

তিহাড় জেলে থাকা সেই নইম সস্প্রতি ফাঁসি রদের আর্জি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন জানান। লস্কর-ই-তইবার সদস্যকে আপাতত কলকাতার কোনও সংশোধনাগারে কড়া নিরাপত্তায় রাখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। রাজ্য পুলিশের ডিজি, কারা দফতরের ডিআইজি সিদ্ধান্ত নেবেন কোন সংশোধনাগারে রাখা হবে নইমকে। যদিও নইম নিজে প্রেসিডেন্সি জেলে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। অন্য দিকে, উচ্চ আদালত জানায়, ওই আসামিকে আইনজীবীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আলোচনা করার সুযোগ করে দিতে হবে জেল কর্তৃপক্ষের তরফে।

অন্য বিষয়গুলি:

Laskar-e-Taiba Calcutta High Court Kolkata
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE