নিউ টাউন এলাকার সরকারি জমি থেকে বিজেপি ও সিপিএমের দু’টি কার্যালয় সরানোর নির্দেশ দিল কোর্ট। —নিজস্ব চিত্র।
রাজারহাট-নিউ টাউনে অবৈধ নির্মাণের ক্ষেত্রে ফের কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিংহ নির্দেশ দিয়েছেন, সিপিএম এবং বিজেপির চারটি দলীয় কার্যালয়ের নির্মাণ বন্ধ রাখতে হবে। হিডকোর জমিতে ওই অফিস গড়ে উঠলে সেগুলি ভাঙার ব্যাপারে হিডকোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এর আগে হিডকোর জমি দখল করে তৈরি হওয়া তৃণমূলের তিনটি দলীয় কার্যালয় ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিংহ।
রাজারহাট-নিউ টাউনে হিডকোর জমি দখল করে নির্মাণ হচ্ছে বলে আদালতে মামলা হয়েছিল। সেই মামলাতেই এই রাজনৈতিক দলের অফিসের কথা সামনে এসেছে। এর আগের শুনানিতে হিডকোকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কেন তারা নিজেদের জমি দখল হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারছে না?
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের মুখে দলীয় কার্যালয় নিয়েও যেন রেষারেষি শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। এর আগে নিউ টাউনে সরকারি জমির উপরে তৈরি হওয়া তৃণমূলের তিনটি দলীয় কার্যালয়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন নিউ টাউনের সিপিএম নেতা সপ্তর্ষি দেব। আদালতের রায়ে তাদের দলীয় কার্যালয় ভাঙার নির্দেশ হওয়ার পরেই নিউ টাউনের পাথরঘাটা এলাকায় তৃণমূলের তরফে জবরদখলের একটি অভিযোগ তুলে মামলা হয়। বলা হয়, সরকারি জমির উপরে সিপিএম এবং বিজেপির দলীয় কার্যালয় রয়েছে। মামলা করেন সৈকত পালচৌধুরী নামে এক তৃণমূলকর্মী।
পাথরঘাটা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ তপন মণ্ডল বলেন, ‘‘সিপিএম অভিযোগ করেছিল আমাদের দলীয় কার্যালয় সরকারি জমির উপরে রয়েছে। আমরা সেই দলীয় অফিস খুলে দিয়েছি। এ বার সিপিএম এবং বিজেপি আশা করি হাই কোর্টের নির্দেশ মানবে। আমাদের দলীয় অফিস ভাঙার নির্দেশের পরেই আমরা আদালতের কাছে সচিত্র তুলে ধরেছি, কী ভাবে সরকারি জমি দখল করে সিপিএম ও বিজেপি দলীয় কার্যালয় করেছে।’’
ওই তৃণমূল নেতার অভিযোগ, নিউ টাউন বিধানসভা এলাকায় আকন্দকেশরীর কাছে বাগজোলা খালের পাশে সেচ দফতর, গেঁড়াগেড়িতে পূর্ত দফতর ও টিসিএস গীতাঞ্জলি এলাকায় হিডকোর জমির উপরে সিপিএম দলীয় কার্যালয় তৈরি করেছে। অন্য দিকে, কদমপুকুরে গুজরাতি কলেজের কাছে হিডকোর জমিতে বিজেপি দলীয় কার্যালয় তৈরি করে রেখেছে বলেই অভিযোগ তৃণমূলের।
সিপিএম নেতা সপ্তর্ষির দাবি, ‘‘টিসিএসের কাছে দলীয় কার্যালয়টি অনেক বছর বন্ধ। বাকি দু’টি তো হিডকোর জমির উপরে নয় বলেই জানি। রায়ের কপি হাতে পেলে সবটা বুঝতে পারব।’’
অন্য দিকে, বিজেপির রাজারহাট নিউ টাউনের চার নম্বর মণ্ডলের সভাপতি অমিয় মণ্ডলের দাবি, ‘‘যে জমির কথা তৃণমূল বলছে, সেটি আমাদের ব্যক্তিগত জমি। তার দলিলও আমাদের কাছে রয়েছে। অনেক দিন ধরেই তৃণমূল আমাদের ওই দলীয় কার্যালয়টি ভাঙার চেষ্টা করে চলেছে। এর আগেও এক বার পুলিশ পাঠিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু আমাদের দলিল দেখে পুলিশ ফিরে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy