E-Paper

ভুয়ো নকশায় পাঁচতলা বহুতল, প্রোমোটারকে জরিমানা ক্ষুব্ধ হাই কোর্টের

বিধাননগর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ওই বেআইনি বহুতলের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। তাঁর আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় ও শালিনী ঘোষ জানান, আইনি অনুমোদন ছাড়াই বাড়িটি তৈরি হয়েছিল।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৪ ০৮:২২
Share
Save

ভুয়ো নকশা দিয়ে কী ভাবে সল্টলেকে পাঁচতলা বাড়ি তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, কমপক্ষে উপ-নগরপাল পদের কোনও অফিসারকে যেন তদন্তভার দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে বিধাননগরের নগরপালকে। তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছে আদালত। প্রসঙ্গত, আগে সংশ্লিষ্ট নির্মাণটি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। তার বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আর্জি জানিয়েছিলেন বহুতলটির প্রোমোটার। এ দিন সেই আর্জি খারিজ করে প্রোমোটারকে এক লক্ষ টাকা জরিমান করেছে হাই কোর্ট।

বিধাননগর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ওই বেআইনি বহুতলের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। তাঁর আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় ও শালিনী ঘোষ জানান, আইনি অনুমোদন ছাড়াই বাড়িটি তৈরি হয়েছিল। সেটি ভেঙে পড়ে মারাত্মক বিপদ ঘটতে পারত। তার পরেই বিচারপতি অমৃতা সিংহ বাড়িটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন।

আদালতের খবর, ডিভিশন বেঞ্চে প্রোমোটার-পক্ষ দাবি করেছিল, তাদের নকশা আছে। সেই নকশা জমা দেয় তারা। কিন্তু পুর কর্তৃপক্ষ নথি পেশ করে জানান, ওই নকশার কোনও তথ্য পুরসভা থেকে দেওয়া হয়নি। নকশাটিকে কার্যত ভুয়ো বলে চিহ্নিত করেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, ওই বহুতলের দুই প্রোমোটারের বিরুদ্ধে পুরসভা বিধাননগর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিল। আদালতে জানা গিয়েছে, তদন্তকারী অফিসার কোনও নথি বাজেয়াপ্ত করেননি। অভিযুক্ত দু’জনও সহজে জামিন পেয়েছেন।

এ দিন ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, বিধাননগর পুলিশ হাই কোর্ট প্রশাসনের কাছে জমা থাকা নকশার নথি নিতে পারবে ও অভিযুক্তেরা সহযোগিতা না করলে তাঁদের জামিন বাতিলে পদক্ষেপ করতে পারবে।

এ দিনের নির্দেশের পরে বেআইনি নির্মাণের সঙ্গে পুলিশ-প্রশাসনের একাংশের যুক্ত থাকা এবং দুই প্রোমোটারের সঙ্গে স্থানীয় পুরপ্রতিনিধির ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ ফের উঠেছে। সংশ্লিষ্ট পুরপ্রতিনিধি আশুতোষ নন্দীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ নিয়ে এখনও কিছু জানি না। পুরসভা সব সময়ে বেআইনি নির্মাণের বিরোধী।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Illegal Construction Salt Lake Calcutta High Court

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

ক্যানসেল করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো

Best Value
প্রতি বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
প্রতি মাসে

৪২৯

১৬৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।