ছবি: সংগৃহীত।
কলেজপড়ুয়া মেয়ে সপ্তাহখানেক ধরে ‘নিখোঁজ’। কসবা থানায় অভিযোগ জানিয়েও ‘খোঁজ’ পাওয়া যায়নি। এই দাবি করে মেয়েকে খুঁজে দিতে শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করলেন মা। যদিও ওই তরুণীর পাল্টা দাবি, তিনি স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছেন। এই মুহূর্তে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হোমে রয়েছেন। শুক্রবার হেবিয়াস কর্পাস মামলায় দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর এই মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
কসবার যে হোমে ওই তরুণী রয়েছেন, শুক্রবার সেখানে পুলিশের সাহায্যে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে মাকে পাঠায় হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজা বসুচৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার শুনানির সময় আদালতে ওই তরুণীর আইনজীবী বলেন যে, মাকে দেখেই মেয়ের প্রশ্ন ছিল, ‘‘কেন এসেছ? আমি তোমাদের সঙ্গে যাব না।’’ এর পর মামলাটি খারিজ করে দেয় আদালতও।
অভিযোগ, ওই তরুণীর আচার-আচরণ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই প্রশ্ন তুলেছেন বাড়ির লোক এবং পাড়াপ্রতিবেশীরা। তাঁকে নিয়ে তাঁরা চিন্তিত বলেও দাবি করেছেন। যদিও তরুণীর অভিযোগ, তাঁর অমতে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন বাড়ির লোকেরা। তাই ২০ মে বাড়ি ছেড়ে কসবায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হোমে গিয়ে ওঠেন তিনি।
পুলিশ তদন্ত করতে গেলে লিখিত ভাবে তিনি জানিয়ে দেন যে কেউ তাঁকে জোর করে নিয়ে যাননি। তিনি স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছেন। এমনকি, পরিবার এবং পাড়াপ্রতিবেশীদের নানা বিরূপ মন্তব্য দিশাহারা হয়েই তিনি এই কাজ করেছেন বলে পুলিশকে জানান।
যাবতীয় নথি এবং পুলিশের রিপোর্ট পাওয়ার পর আদালত পরিবারের রুজু করা হেবিয়াস কর্পাস মামলাটি খারিজ করে দেয়। যদিও আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্বেচ্ছায় বাড়ি ছাড়তে পারেন সাবালিকা। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি কেন দুর্ব্যবহার করে মাকে ফিরিয়ে দেবেন? তিনি তাঁর পরিবারকে দূরে ঠেলে দিয়ে তাঁদেরও দুঃখ দিতে পারেন না। তাই আদালত সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের আইনজীবীকে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে তরুণীকে বোঝানোর চেষ্টা করতে পরামর্শ দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy