ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনমঞ্চ। —নিজস্ব চিত্র।
ধর্মতলায় রাস্তার অধিকাংশ জুড়ে অনশনে বসেছেন ডাক্তারেরা। তাই তাঁদের রাস্তা ছেড়ে দিয়ে বা রাস্তার পাশে বসতে বলা হোক। এমন আর্জি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন এক আইনজীবী। কিন্তু সোমবার এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করল না উচ্চ আদালত। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম জানান, এই সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। তাই এই বিষয়ে এখনই কোনও হস্তক্ষেপ নয়।
ওই আইনজীবী আদালতে দাবি করেন যে, রাস্তার অধিকাংশ জুড়ে ডাক্তারেরা বসে থাকায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তাই তাঁদের রাস্তা ছেড়ে বা রাস্তার পাশে অনশনে বসতে বলা হোক।
প্রসঙ্গত, ২৪ ঘণ্টার অবস্থানের পর শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১০ দফা দাবি নিয়ে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। নিরাপত্তা সংক্রান্ত ওই ১০ দাবি সরকার না পূরণ করলে অনশন চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। শনিবার অনশনে বসেছিলেন ছয় জুনিয়র ডাক্তার। তাঁরা হলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, স্নিগ্ধা হাজরা, তনয়া পাঁজা, এসএসকেএমের অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা এবং এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের পুলস্ত্য আচার্য। কিন্তু অনশনকারীদের মধ্যে আরজি কর হাসপাতালের কেউ নেই কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। রবিবার রাতে ওই ছ’জনের সঙ্গে অনশনে বসেন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো।
জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনকে সমর্থন জানাতে সোমবার সিনিয়র ডাক্তারেরাও ধর্মতলায় প্রতীকী অনশনে বসেছেন। সকালেই অনশনমঞ্চে পৌঁছে গিয়েছেন কয়েক জন সিনিয়র ডাক্তার। তাঁরা ২৪ ঘণ্টা অনশন করবেন বলে জানিয়েছেন। ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনমঞ্চে দু’টি বায়ো টয়লেট বসানো হয়েছে। একটি ব্যবহার করছেন মহিলা অনশনকারীরা, অন্যটি ব্যবহার করছেন পুরুষ অনশনকারীরা। তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত পুলিশের লিখিত অনুমতি মেলেনি। আন্দোলনকারীদের দাবি, রবিবার পুলিশ জানিয়েছিল, গ্রিন জ়োন হওয়ায় সেখানে বায়ো টয়লেট বসানো যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy