ফাইল চিত্র।
হাওড়া স্টেশনে যাত্রী তোলা নিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ির চালকদের সঙ্গে বিরোধ অব্যাহত ট্যাক্সিচালকদের। অভিযোগ, বাণিজ্যিক লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত মালিকানার গাড়ির চালকদের একাংশ নিয়ম ভেঙে গাড়ি যথেচ্ছ ভাবে ভাড়ার কাজে ব্যবহার করছেন। এ নিয়ে সম্প্রতি হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা ঘেরাও করে ট্যাক্সিচালক সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাক্সি অপারেটর্স কোঅর্ডিনেশন কমিটি। অভিযোগ, ঘেরাও কর্মসূচির পরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই সমস্যার সুরাহা চেয়ে শুক্রবার তারা হাওড়ার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন। অভিযোগ, স্টেশন থেকে যাত্রীরা বেরোলেই ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকেরা তাঁদের মালপত্র টানাটানি করছেন, গাড়িতে তুলে নিচ্ছেন।
ওই ট্যাক্সিচালকেরা জানান, ব্যক্তি মালিকানার গাড়িগুলি এ ভাবে তাঁদের যাত্রীদের ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ায় তাঁরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সংগঠনের আহ্বায়ক নওলকিশোর শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত গাড়িতে এ ভাবে যাত্রী পরিবহণের কোনও অনুমতি নেই। ওই সব গাড়িতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে বিমার সুবিধেও যাত্রীরা পাবেন না। কিন্তু প্রশাসনের একাংশের মদতে ওই ব্যবস্থা চলছে।’’ তাঁর হুঁশিয়ারি, পুলিশ পদক্ষেপ না করলে আগামী দিনে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন। সংগঠনের দাবি, স্থানীয় থানাকে জানিয়ে ফল না মেলায় হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটেও তাঁদের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
প্রোগ্রেসিভ ট্যাক্সি মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শম্ভুনাথ দে-ও দালাল চক্রের অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকদের দাপটে যাত্রীরা অনেক সময়ে দূরপাল্লার ট্রেন থেকে নামার পরে সরকার পরিচালিত প্রিপেড ট্যাক্সিবুথ পর্যন্তও পৌঁছতে পারেন না। তার আগেই ওই সব গাড়ির চালকেরা যাত্রীদের কার্যত ছিনতাই করে নিয়ে যান। তবে, পুলিশি তৎপরতায় ব্যক্তিগত গাড়ির দাপট অতীতে ঠেকানো গিয়েছে বলেও জানান তিনি। বিষয়টি নিয়ে তাঁরাও পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন বলে জানান শম্ভুবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy