পুরসভায় ফিরহাদ হাকিম।—নিজস্ব চিত্র।
সংশোধিত নাগরিত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে বহু মানুষ বিভ্রান্ত এবং উদ্বিগ্ন। নানা সমস্যা নিয়ে পুর প্রতিনিধিদের কাছে আসছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে কী করণীয়, তা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে জানতে চাইলেন তৃণমূল কাউন্সিলররা।
শনিবার কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে তৃণমূলের কাউন্সিলর রত্না শূরের পক্ষ থেকে সিএএ এবং এনআরসি বিষয়ে প্রস্তাব আনা হয়। তিনি মেয়রের কাছে জানতে চান, এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে বিভ্রান্তি কাটছে না। নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্যে কোন কোন নথি থাকা দরকার? বহু মানুষ এ নিয়ে সচেতন নন। তাঁরা পুর প্রতিনিধিদের কাছে জানতে চাইছেন।এ বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। এ রাজ্যে সিএএ বিরোধিতা চলবে। এনআরসি হতে দেব না। সচেতনতার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রচার করতে হবে।”
এ দিন সিএএ এবং এনআরসি প্রসঙ্গ উঠতেই বামেরা অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করেন। তাঁদের অভিযোগ, এই দু’টি বিষয়ে এর আগে পুর অধিবেশনে আলোচনার জন্য প্রস্তাব আনা হয়েছিল। কিন্তু তা খারিজ করে দেওয়া হয়। এখন তৃণমূল বিরোধিতার নাটক করছে। কংগ্রেসঅধিবেশনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে। এ দিন অধিবেশন জুড়ে কাউন্সিলররা সিএএ-এনআরসি নিয়েই আলোচনা করেন। মেয়র এ বিষয়ে সচেতনতার জন্য কাউন্সিলরদের উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।তৃণমূলের এক কাউন্সিলর বলেন, “বহু মানুষ জন্মের শংসাপত্র, রেশন কার্ড, বাড়ির ঠিকানা, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড নিয়ে এখনও ছোটাছুটি করছেন। অনেকেরই এই সব পরিচয়পত্র নেই। ফলে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি বাড়ছে।”
আরও পড়ুন: গুড়িয়া ধর্ষণ কাণ্ডে ছ’বছর পর দোষী সাব্যস্ত দুই অপরাধী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy