২৩০ নম্বর রুটের বাস।
টালা সেতু বন্ধ থাকায় পরিবর্তিত রুট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই পথে সমস্যা হওয়ায় পরিবহণমন্ত্রীর কাছে নতুন রুটের দাবি জানিয়েছিলেন বাস মালিকেরা। অভিযোগ, সেই নতুন রুটের অনুমোদন না মেলেনি। তার জেরে বুধবার সন্ধ্যা থেকে কামারহাটি—আলিপুর চিড়িয়াখানা রুটে ২৩০ নম্বর বাস চালানো বন্ধ করে দিয়েছেন মালিক ও কর্মচারীরা। তার জেরে বৃহস্পতিবার সারা দিন চরম ভোগান্তি হল যাত্রীদের।
যদিও এ দিন সন্ধ্যায় রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানান, আজ, শুক্রবার থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে। শুভেন্দু বলেন, ‘‘ছুটি থাকায় নতুন রুটের বিজ্ঞপ্তি বার হতে সমস্যা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ওই ফাইলে সই করে দিয়েছি। বাস মালিক, কর্মচারীদেরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর কোনও সমস্যা হবে না।’’
২৩০ নম্বর রুটের বাস মালিক ও কর্মচারীরা জানান, কামারহাটি থেকে আলিপুর চিড়িয়াখানা পর্যন্ত ৬২টি বাস চলাচল করে। আচমকা বাস পরিষেবা বন্ধ হওয়ায় প্রায় ৪০০ কর্মচারী কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। বাসের কর্মচারী ও মালিকদের দাবি, টালা সেতু বন্ধ থাকায় যে বিকল্প রুট (কামারহাটি-চিড়িয়ামোড়-নাগেরবাজার-উল্টোডাঙা-হাডকো-ফুলবাগান-বেলেঘাটা-শিয়ালদহ হয়ে চিড়িয়াখানা) তাঁদের দেওয়া হয়েছিল, তাতে গন্তব্যে পৌঁছতে সময় যেমন বেশি লাগছে, তেমনি যাত্রীও তুলনায় অনেক কম হচ্ছে। একটি বাস দিনে দু’বারের বেশি কামারহাটি ও আলিপুরের মধ্যে চলাচল করতে পারছে না। প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে।
তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন অনুমোদিত ওই রুটের বাস কর্মচারী সংগঠনের সহ সভাপতি ভোলানাথ শ্রীবাস্তব জানান, অন্য রুটের জন্য মালিকপক্ষ পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে আলোচনার ভিত্তিতে নতুন রুট (কামারহাটি-চিড়িয়ামোড়-সেভেন ট্যাঙ্কস-লেক টাউন-উল্টোডাঙা-খন্না হয়ে চিড়িয়াখানা) নিয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘‘নতুন রুটের নির্দেশিকা এখনও বেরোয়নি। অনেকটা ঘুরপথে গিয়ে প্রতিদিন লোকসানও হচ্ছিল। তাই বাস পরিষেবা বন্ধ রেখেছি।’’ দমদমের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। নতুন একটি রুটের কথা তিনিও বলেছেন। পুজোর ছুটি থাকায় নির্দেশিকা বেরোয়নি। তবে আচমকা বাস পরিষেবা বন্ধ করা ঠিক হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy