প্রতীকী ছবি।
গাড়ি চালানোর সময়ে মোবাইল ফোনে কথা বললে জরিমানার ব্যবস্থা চালু রয়েছে। ফলে বহু গাড়িচালকই এখন তা নিয়ে সতর্ক। রাস্তা পারাপারের সময়ে মোবাইলে কথা বলতে দেখলে জরিমানা চালু করেছে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু অন্যত্র এই ব্যবস্থা নেই। বুধবার নিউ টাউনে বাসের ধাক্কায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, বিধাননগরের পুলিশও কেন কলকাতার মতো পথচারীদের জরিমানার ব্যবস্থা চালু করছে না?
এ দিন নিউ টাউন বাসস্ট্যান্ডের কাছে সিগন্যাল খোলা অবস্থায় রাস্তা পার হচ্ছিলেন এক মহিলা। পুলিশের দাবি, ওই মহিলা ফোনে কথা বলতে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি খেয়াল করেননি পথচারীদের রাস্তা পারাপারের সিগন্যাল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অন্য দিকে গাড়ি চলাচলের সিগন্যাল তখন চালু হয়ে গিয়েছিল। রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মী এবং পথচারীরা তাঁকে সতর্ক করতে চিৎকার করে ওঠেন। ইতিমধ্যেই আন্দুল স্টেশন থেকে ইকো স্পেস রুটের একটি বেসরকারি বাস মহিলাকে ধাক্কা মারে। মহিলা বাসের তলায় পড়ে যান। এ দিন বিকেলে ওই ঘটনা ঘটে। তাঁকে দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতার নাম মীনাক্ষী মিশ্র (৩৫) বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার পরে পুলিশ ওই বেসরকারি রুটের বাস ও চালককে আটক করেছে। এই নিয়ে গত তিন দিনে বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় দুই মহিলার মৃত্যু হল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিউ টাউন বাসস্ট্যান্ডের কাছে বিমানবন্দরের দিকের রাস্তায় গাড়ি চলাচলের সিগন্যাল খোলা ছিল। মীনাক্ষীদেবী মোবাইলে কথা বলতে বলতে এক হাত তুলে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। তিনি নিউ টাউনের এএন ব্লকের বাসিন্দা বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ।
তবে স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, যে বাসটি মহিলাকে ধাক্কা মারে সেটি এবং অন্য আর একটি বাস জোরে চলছিল। অভিযোগকারীরা মনে করেন, মহিলার দোষ ছিল ঠিকই। তবে বাসচালকদেরও সতর্ক থাকার প্রয়োজন ছিল। যদিও বাসচালকদের অনেকে মনে করেন আচমকা ব্রেক কষলে বাসটিও বড় দুর্ঘটনার মুখে পড়তে পারত।
চলতি সপ্তাহে সোমবার রাতেও এয়ারপোর্ট থানা এলাকার অধীনে এম বি রোডে একটি ডাম্পারের ধাক্কায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছিল।
দুর্ঘটনার পরে বিধাননগর পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘বারবার প্রচার করা সত্ত্বেও বহু পথচারী নিজেদের নিরাপত্তা সম্বন্ধে সচেতন হচ্ছেন না। তাঁদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরাও কলকাতার মতো জরিমানা চালু করার ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছি। এ নিয়ে শীর্ষস্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy