‘নিহত’ ছাত্র নেতা আনিস খানের বাবা সালেম খানকে সঙ্গে নিয়ে ‘ইনসাফ যাত্রা’য় মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়েরা। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে বিভিন্ন দফতরে এখন শূন্য পদের সংখ্যা কত, অদূর ভবিষ্যতেই বা কত পদ খালি হতে চলেছে, এ সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। তথ্যের অধিকার আইনে (আরটিআই) আবেদন করে নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও সাড়া মিলছে না। বাংলা থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ভিন্ রাজ্যে কাজ করতে গেলেও সরকারি পোর্টালে নির্দিষ্ট তথ্য নেই। এ সব নানা প্রশ্নের জবাব চাইতেই নির্ধারিত দিনে ব্রিগেড ময়দানে যুব সমাবেশ হবে বলে ফের জানিয়ে দিল ডিওয়াইএফআই।
কাজের দাবিতে রাজ্য জুড়ে ‘ইনসাফ যাত্রা’য় নেমেছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। পদযাত্রার শেষে আগামী ৭ জানুয়ারি ব্রিগেডে সমাবেশের ডাক দিয়েছে। তবে আগে থেকে আবেদন করা সত্ত্বেও এখনও সমাবেশের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি মেলেনি। ‘ইনসাফ যাত্রা’র ৩৯তম দিনে মঙ্গলবার হাওড়ার সলপে ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সরকারের কাছ থেকে তথ্য পেতে রাজনৈতিক লড়াইয়ের পাশাপাশি তাঁরা আইনি পথেও যাবেন। কাজ এবং বিচারের দাবিতে সকলকে নিয়ে ব্রিগেডে সমাবেশজ়ও ঘোষণা মতোই হবে। মীনাক্ষীর কথায়, ‘‘ধর্ম, জাত-পাত, খাদ্যাভ্যাস, পোশাক নিয়ে মাথা ঘামাতে ব্যস্ত কেন্দ্রের শাসক দল। রাজ্যে শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের চাকরি নেই। কাজ চাইতে গেলে পুলিশের নির্যাতন জুটছে। আমরা বলছি, সব পেটে ভাত দাও, সব হাতে কজ দাও। সব প্রশ্নের জবাব চাইতে আমরা ব্রিগেড যাব।’’ যাত্রা পথে ডিওয়াইএফআইয়ের নেতৃত্ব সোমবার গিয়েছিলেন নিহত ছাত্র-নেতা আনিস খানের বাড়িতে। আনিসের বাবা সালেম খানকে সঙ্গে নিয়ে এ দিন তাঁরা গিয়েছিলেন আর এক ‘শহিদ’ ছাত্র নেতা স্বপন কোলের বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। ডোমজু়ড়, সলপ হয়ে হাওড়ার একাংশে এ দিন ‘ইনসাফ যাত্রা’ ভিড় হয়েছিল চোখে পড়ার মতো। মীনাক্ষীদের দাবি, কোচবিহার থেকে শুরু হওয়া যাত্রায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ নানা ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy