Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
cisf

MLA Hostel: অস্ত্র নিয়ে এমএলএ হস্টেলে ঢোকা নিষিদ্ধ কেন্দ্রীয় বাহিনীর, সমস্যায় বিজেপি বিধায়করা

আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা ছাড়া সকলেই প্রথম বারের বিধায়ক। এঁদের মধ্যে অশোক লাহিড়ি-সহ দু’একজনই নিরাপত্তা নেননি।

এই নির্দেশ মানতেই হিমশিম খাচ্ছেন বিজেপি বিধায়করা।

এই নির্দেশ মানতেই হিমশিম খাচ্ছেন বিজেপি বিধায়করা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২১ ২০:৩৫
Share: Save:

বিধায়ক আবাসনে অস্ত্র নিয়ে ঢুকতে পারবেন না নিরাপত্তারক্ষীরা। বিধানসভার সচিবালয়ের এই নির্দেশে বিপাকে বিজেপি বিধায়কেরা। কারণ, কলকাতায় বিধায়ক আবাসে যে সব বিজেপি বিধায়কেরা রয়েছেন, তাঁদের প্রায় সকলেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান। শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশন শুরু হয়েছে। ফলে ওই বিধায়কেরা আবাসে থাকতে আসেন। কিন্তু নতুন নিয়মে তাঁরা সমস্যায় পড়েন। বেশির ভাগ বিধায়ক সন্ধ্যা গড়ালেও কিড স্ট্রিটের ওই বিধায়ক আবাসে ঢুকতে পারেননি। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে অস্ত্র থাকা না-থাকা, এই দোলাচল সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা।

মন্ত্রী থেকে বিধায়ক, সকলের নিরাপত্তারক্ষীকেই ছোট থেকে বড় সব ধরনের অস্ত্র অন্যত্র জমা দিয়ে বিধায়ক আবাসে ঢুকতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। ছোট অস্ত্রের ক্ষেত্রে আবাসের নীচে সেগুলি জমা দিয়ে ঢুকতে হবে নিরাপত্তারক্ষীদের। একে-৪৭-এর মতো বড় ধরনের অস্ত্র পার্কস্ট্রিট থানায় জমা দিয়ে ঢুকতে হবে বলে প্রথমে জানানো হয়। কিন্তু বিজেপি বিধায়কদের নিরাপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় সরকারের সিআইএসএফ বাহিনী তাতে আপত্তি তোলে। পরে বিধায়ক আবাসের পাশে জাদুঘরের ভিতরে সিআইএসএফ ক্যাম্পে বড় অস্ত্র জমা রাখতে বলা হয়।

সেই নির্দেশ পালন করতে গিয়েই শুক্রবার হিমশিম খেয়ে ওঠেন বিজেপি বিধায়কদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রক্ষীরা। বাঁকুড়ার ইন্দাসের বিজেপি বিধায়ক নির্মল ধাড়া বলেন, ‘‘জীবনের ঝুঁকি রয়েছে বলেই তো নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে! এটা কি কোনও দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থা হতে পারে? নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হয়েছে আমাদের। কিন্তু সঙ্গে যদি অস্ত্রই না থাকে, কী ভাবে নিরাপত্তা দেবেন ওঁরা?’’

আরও পড়ুন:

রাজ্যের বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে প্রায় ৬০ জনই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়েছেন। আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা ছাড়া তাঁরা সকলেই প্রথম বারের বিধায়ক। এঁদের মধ্যে একমাত্র বিধায়ক অশোক লাহিড়ি-সহ দু’একজনই নিরাপত্তা নেননি। এ প্রসঙ্গে মনোজ বলেন, ‘‘নিয়ম যখন হয়েছে, মেনে নিতেই হবে। সব কিছুতে প্রতিবাদ করে লাভ নেই। পরে এ নিয়ে বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে কথা বলব।’’ যদিও এমন নিয়ম যে চালু হতে যাচ্ছে, তা আগেই জানিয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন।

তবে শুধু নিরাপত্তারক্ষীদের অস্ত্র রাখাই নয়, তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করতেও সমস্যায় পডে়ছেন বিজেপি বিধায়করা। বিধায়ক আবাসে নিরাপত্তারক্ষী, এমনকি গাড়িচালকদের থাকার খরচও নিজেদের পকেট থেকেই দিতে হচ্ছে তাঁদের। যত বড় ঘর, তত বেশি খরচ। সেই সব ব্যবস্থা করতেই কালঘাম ছুটে যাচ্ছে তাঁদের।

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Arms BJP MLA cisf West bengal Assembly
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE