পাশাপাশি, রাজ্য নেতৃত্বের নীতির কারণে দলত্যাগ হচ্ছে বলেও মনে করেন লকেট। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘হতে পারে সেটা।’’ তার পরেই লকেটের সংযোজন, ‘‘জয়প্রকাশ মজুমদারের কথা ছেড়ে দিন। তিনি ব্যক্তিগত কার্যসিদ্ধির জন্য গিয়েছেন। কিন্তু মনোবল ভেঙে যদি কেউ চলে যায়, তা হলে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা উচিত। দলের এই ভাঙন রোখা উচিত।’’
ফাইল ছবি।
সাময়িক বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ‘নিজের কার্যসিদ্ধির জন্য’ তৃণমূলে গিয়েছেন বলে মনে করেন বিজেপি-র সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি, তিনি জানিয়েছেন, দলীয় নেতৃত্বের নীতির কারণেই দলত্যাগ হচ্ছে।
মঙ্গলবার লকেট বলেন, ‘‘আগেও দল ছেড়ে অনেক নেতা চলে গিয়েছেন। অনেক দিন ধরেই দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা আমরা দেখতে পাচ্ছি। যাতে এই পরিস্থিতির শিকার হয়ে দল ছেড়ে কেউ চলে না যান, তার জন্য তাঁদের সঙ্গে কথা বলা উচিত। দলের এই ভাঙন রোখা উচিত। সবাইকেই রোখা উচিত। আমাদের এখন সেই কাজটাই করতে হবে। কথা বলার পরেও যদি কেউ চলে যান, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।’’ লকেট আরও জানিয়েছেন, তাঁরা সকলেই জয়প্রকাশকে দল ছেড়ে তৃণমূলে যেতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু জয়প্রকাশ তা শোনেননি।
প্রসঙ্গত, ‘দলবিরোধী’ কাজের অভিযোগে জয়প্রকাশ এবং রীতেশ তিওয়ারিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল বিজেপি। জয়প্রকাশ তৃণমূলে যোগ দিতে নজরুল মঞ্চে উপস্থিত হওয়ার পরেই বিজেপি তাঁকে বহিষ্কার করে। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘‘উনি তো আগে কংগ্রেসে ছিলেন। সেখান থেকে বিজেপি-তে এসেছিলেন। যদিও উনি বেশিদিন বিজেপি-তে থাকেননি।’’
দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘জয়প্রকাশ মজুমদারকে দল যোগ্য মর্যাদা দিয়েছে। পদাধিকারী বানিয়েছে। প্রার্থী করেছে বিধানসভায়। তার পরেও যদি তিনি মনে করেন, ঠিক নেই, তা হলে তাঁর সিদ্ধান্ত। এর আগেও অনেক নেতা গিয়েছেন। পরেও যেতে পারেন। কোনও নেতা চলে গেলে দলের ক্ষতি হয় না। দলের কর্মীরা হল ভিত। তাঁরাই আবার দলকে দাঁড় করাবেন।’’
সোমবার রাজ্য বিজেপি-র ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতাদের বৈঠকে জয়প্রকাশ, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসুদের পাশাপাশি ছিলেন লকেটও। যা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে, ‘বিক্ষুব্ধদের নেত্রী’ হতে চাইছেন লকেট। সেই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘‘আমি মনে করি না, দলের মধ্যে এ ভাবে ডিভাইড অ্যান্ড রুল করা উচিত। বিক্ষুব্ধ, নন-বিক্ষুব্ধ এ সব করা উচিত নয়। আমরা সবাই এক। আমরা দলের অনুগত সৈনিক। আমরা বিজেপি-র লোকজন।’’
পাশাপাশিই, রাজ্য নেতৃত্বের নীতির কারণেও দলত্যাগ হচ্ছে বলে মনে করেন লকেট। সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিজেপি-র সাংসদ বলেন, ‘‘হতে পারে সেটা।’’ তার পরেই তাঁর সংযোজন, ‘‘জয়প্রকাশ মজুমদারের কথা ছেড়ে দিন। তিনি ব্যক্তিগত কার্যসিদ্ধির জন্য গিয়েছেন। কিন্তু মনোবল ভেঙে যদি কেউ চলে যান, তা হলে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা উচিত। দলের এই ভাঙন রোখা উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy