শেক্সপিয়র সরণি থানা। —ছবি : সংগৃহীত
সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে কালনা পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা চাওয়ার ঘটনায় ধৃতদের কল লিস্ট খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযুক্তেরা টাকা চাওয়ার আগে এবং পরে কার কার সঙ্গে কথা বলেছিল, তা দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় নাম জড়ানো বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-কে ডেকে পাঠিয়েছিল শেক্সপিয়র সরণি থানা। তিনি থানায় ইমেল পাঠিয়ে সময় চেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোক’ বলে পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি পূর্ব বর্ধমানের কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তকে ফোন করে। অভিযোগ, প্রথমে পুরপ্রধানের কাছে পুরসভার হাল-হকিকত
এবং কারা তাঁর সঙ্গে সহযোগিতা করছে না— এ সব নিয়ে নানা কথা বলে অভিযুক্ত। এর পরে কালনা পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। এমনকি, টাকা নিয়ে তাঁকে পার্ক স্ট্রিটের এমএলএ হস্টেলে ডাকা হয়েছিল বলেও অভিযোগ। এর পরেই চেয়ারম্যান শেক্সপিয়র সরণি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে এমএলএ হস্টেল থেকে জুনেইদুল হক চৌধুরী, শুভদীপ মল্লিক এবং শেখ তসলিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-র লেটারহেডে লেখা চিঠির ভিত্তিতে শেখ ইমরোজ নামে এক জনকে ঘরটি দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘরে অভিযুক্ত তিন জন কালনার পুর চেয়ারম্যানকে ডেকে পাঠায়। এর পরেই বিজেপি বিধায়ককে তিন দিনের মধ্যে শেক্সপিয়র সরণি থানায় আসার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল পুলিশ। সোমবার সেই সময়সীমা শেষ হলেও থানায় আসেননি কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। নিখিলরঞ্জন জানান, তিনি এই মামলার তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। ইমেল করে এবং ওয়টস্যাপ মেসেজেও তাঁর পক্ষে এ দিন দেখা করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন। বিধায়ক বলেন, ‘‘রাজনৈতিক কিছু কর্মসূচি রয়েছে। এ ছাড়া বর্ষবরণের কিছু কর্মসূচিও রয়েছে। সব মিলিয়ে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আমার পক্ষে দেখা করা সম্ভব নয় বলে তদন্তকারী অফিসারকে জানিয়েছি। তার পরে দেখা করব।’’ বিজেপি বিধায়কের থানায় হাজির না-হওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের উত্তরবঙ্গের মুখপাত্র তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতায় বিজেপির বড় বড় মাথারা রয়েছেন, যাঁরা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। তাঁদের শলা-পরামর্শ মেনেই উনি যাননি। শীতের সময়ে পুলিশ আটকে দিলে আবার অসুবিধা হবে। সে সব কথা ভেবেই হয়তো যাননি। শীতের পরে যাবেন।’’
এ দিকে, এ দিন কলকাতায় বিধায়ক হস্টেলের সুপারের সঙ্গে
কথা বলেছেন নিখিলরঞ্জন। এর পরে যাতে ঘর বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক থাকা হয়, সেই দাবিও করেন তিনি। এ দিন তিনি কলকাতায় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy