—প্রতীকী ছবি।
সোনারপুরে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপি-র বিরুদ্ধে। বাঁশ ও লোহার রড দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু তিনি নন, তাঁর সঙ্গে থাকা পঞ্চায়েত-সদস্যা পুত্রবধূকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুরের প্রতাপনগর পঞ্চায়েতের গারাল এলাকায়। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিজেপির নেতা-কর্মীদের দিকে। সোনারপুর থানার পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে বলে খবর। বিজেপি অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আক্রান্ত তৃণমূল নেতার নাম দিলীপ ঢালি। তিনি জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য। বর্তমানে এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ও সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। তাঁর পুত্রবধূ ইন্দ্রাণী ঢালিও প্রতাপনগর পঞ্চায়েতের সদস্যা। দিলীপবাবু ও ইন্দ্রাণীকে মারধরের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তৃণমূলকর্মী সহদেব সর্দার। তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। দিলীপবাবুর মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছে। তিনি সোনারপুরের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার গারালের একটি মাঠে বসে কয়েক জন দুষ্কৃতী মত্ত অবস্থায় গালিগালাজ করছিল। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে যান এলাকার তৃণমূল সভাপতি দিলীপবাবু। তিনি ওই দুষ্কৃতীদের সেখান থেকে উঠে যেতে বলেন। তা নিয়ে দু’পক্ষের বচসা বেধে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দিলীপবাবুকে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলে তারা। অভিযোগ, থানায় যাওয়ার পথে ওই দুষ্কৃতীরা ঘিরে ধরে তাঁকে। তার পরে বাঁশ ও লোহার রড দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেয়। শ্বশুরকে বাঁচাতে এগিয়ে যান ইন্দ্রাণী। তখন তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
বিজেপি-র দক্ষিণ ২৪ পরগনা (পূর্ব) জেলা সভাপতি সুনীপ দাস বলেন, ‘‘মত্ত অবস্থায় কয়েক জন মারামারি করেছে। চক্রান্ত করে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy