Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Education

বিশ্বমানের পরিকাঠামো, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি; শিক্ষার্থীদের আগামীর পথ দেখাচ্ছে বিহানি অ্যাকাডেমি

শুধুমাত্র সামগ্রিক পড়াশুনাই নয়, সাধারণের স্বার্থের কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামো।

বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২১ ১১:১৭
Share: Save:

আগামী শিক্ষাবর্ষের ২০২০-২০২১ এর জন্য অ্যাডমিশন শুরু হয়ে গিয়েছে বিহানি অ্যাকাডেমির। আন্তর্জাতিক স্তরের পরিকাঠামো থেকে নজরকাড়া ক্যাম্পাস - কোনও শিক্ষার্থীর সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য যা যা প্রয়োজন তার সব কিছুই রয়েছে বিহানিতে।

বলা বাহুল্য সিবিএসই-এর শীর্ষে থাকা সমস্ত ইনস্টিটিউটগুলির মধ্যে অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান হল বিহানি অ্যাকাডেমি। বর্তমান সময়ে সিবিএসই অ্যাফিলিয়েটেড স্কুলগুলির মধ্যে এটি একটি অন্যতম নামী প্রতিষ্ঠান। শুধু মাত্র হাই স্কুল তৈরি করাই নয়, বিহানির লক্ষ্য এমন একটা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা কিংবা এমন একটি মঞ্চ তৈরি করা যেখানে প্রাতিষ্ঠানিকতার জাদু দন্ডের ছোঁয়ায় প্রত্যেক শিক্ষার্থী পৌঁছে যেতে পারবে তাদের স্বপ্নপূরণের দোরগোড়ায়। শুধুমাত্র সামগ্রিক পড়াশুনাই নয়, সাধারণের স্বার্থের কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামো। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী যাতে এখানে পড়ার সুযোগ পায় সেই কথা ভেবেই এখানকার ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই মুহূর্তে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থীর স্বপ্নপূরণের পথের সঙ্গী হতে পারে বিহানি অ্যাকাডেমি। এখানে রয়েছে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বিলাসবহুল ক্লাসরুম। সঙ্গে বিশ্বমানের প্রযুক্তি এবং পরিকাঠামো যা হালফিলের ই-লার্নিংকে আরও সহজ করে তুলেছে। সেই সঙ্গে গোটা ক্যাম্পাস সিসিটিভি ক্যামেরায় মোড়া। যা শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করে। শুধু তাই নয়, সমগ্র ইনস্টিটিউশনটি অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামে সজ্জিত। মেডিক্যাল এমার্জেন্সির সময়ে শিক্ষার্থীদের দেখাশোনার জন্য সর্বদাই একজন নার্স উপস্থিত থাকেন ক্যাম্পাসে। সবুজে ঘেরা ছয় একর জমিতে তৈরি হয়েছে বিহানির ক্যাম্পাস — সমস্ত দূষণ এবং কোলাহলের থেকে অনেকটা দূরে। প্রত্যেক কর্মী এখানে সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ করে। এই সমস্ত কিছুর পাশাপাশি আইএসও সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে বিহানি আন্তর্জাতিক মানের স্কুল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে যেখানে রয়েছে বিশ্বমানের পরিকাঠামো। ২০১৯ সালে ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন সিম্পোসিয়াম অ্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ এর তরফ থেকে 'বছরের সেরা পরিকাঠামো'-এর পুরস্কার জিতেছে তারা।

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের উন্নত করতে বিভিন্ন পরিকাঠামোগত উদ্যোগ নিয়েছে বিহানি অ্যাকাডেমি। যেমন স্মার্ট ক্লাস, বিভিন্ন সহ পাঠক্রমিক ক্রিয়াকলাপ, কমিউনিটি সার্ভিস, ফিল্ড ট্রিপ ইত্যাদি। এখানকার এডুস্পোর্টস ক্লাসগুলি শিক্ষার্থীদের মজার কথা ভেবেই তৈরি করা। শরীরচর্চার পাশাপাশি তাদের সামগ্রিক বিকাশের স্বার্থে এখানকার বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষকরা বিভিন্ন ইন্টারেকটিভ সেশন, গেমস এবং আকর্ষণীয় ক্রিয়াকলাপের আয়োজন করে। যেখানে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি তাদের অভিবাবকরাও অংশগ্রহণ করে থাকেন। ক্য়াম্পাসের মধ্যেই রয়েছে বিভিন্ন ইনডোর এবং আউটডোর গেমস খেলার সুবিধা। বাস্কেটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন কোর্ট, ক্রিকেট পিচ, রানিং ট্র্যাক থেকে শুরু করে ক্যারম, দাবা, বিলিয়ার্ডস — কী নেই এখানে! ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন মিউজিকের পাশাপাশি যোগা এবং মার্শাল আর্টসের জন্যও রয়েছে আলাদা আলাদা জায়গা। এছাড়াও সিনিয়র এবং জুনিয়রদের জন্য রয়েছে দু'টি আলাদা লাইব্রেরি। রয়েছে ডান্স স্টুডিও। একটি ফুল সাইজ ফুটবল গ্রাউন্ডের পাশাপাশি ক্যাম্পাসের ভিতরেই রয়েছে একটি বড় সুইমিং পুল, একটি স্প্ল্যাশ পুল এবং ৪০০ সিটের একটি ওপেন অ্যাম্পিথিয়েটার।

বিহানির নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থাও যথেষ্ট সুন্দর এবং সুরক্ষিত। কারণ প্রতিটি স্কুল বাসে রয়েছে জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এবং তাদের যাতায়াত পথকে আরও মসৃণ করতেই স্কুল বাসের এই বন্দোবস্ত। স্কুল বাসগুলিতে প্রশিক্ষিত স্টাফও থাকেন শিক্ষার্থীদের দেখাশোনার জন্য। এর পাশাপাশি স্কুলের ক্যান্টিনে রয়েছে বিভিন্ন সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা। এখানকার বোর্ডিংয়ের পরিবেশও শিক্ষার্থীদের বাড়ির মতোই। যেখানে অভিজ্ঞ ওয়ার্ডেনরা ছাত্র-ছাত্রীদের দেখাশোনা করেন।

সিবিএসই-এর অন্তর্ভূক্ত এই স্কুলটি নার্সারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রদান করে। যেখানে সায়েন্স, কমার্স এবং হিউম্যানিটিস স্ট্রিমের বিভিন্ন ধরনের সাবজেক্ট কম্বিনেশন রয়েছে। এখানকার ৯৮ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রীরাই শুধুমাত্র বোর্ডের পরীক্ষাতেই ভাল ফলাফল করে না, সেই সঙ্গে সর্বভারতীয় প্রতিযোগীতাগুলিতেও উল্লেখযোগ্য ফলাফল করে। ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভাল ২০১৯ এবং ২০২০ সালে পরপর দুই বছর জিতে তারা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।

এখানকার শিক্ষকরা প্রাক-প্রাথমিক স্তর থেকেই হাতে-কলমে শেখার উপর জোর দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন প্লে এরিয়া এবং ক্লাস রুমগুলি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে যুক্ত হতে সাহায্য করে। সিবিএসই গাইডলাইনকে মাথায় রেখেই এখানকার অন্তবর্তী কাউন্সেলর এবং স্পেশাল এডুকেটরেরা বাচ্চাদের প্রতিদিনের কার্যকলাপকে পর্যবেক্ষণ করেন। তাদের বিশেষ প্রয়োজনগুলির উপর নজর দেন। এর পাশাপাশি প্রি প্রাইমারি শিক্ষার্থীদের জন্য ডে কেয়ারের ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে।

যাই হোক না কেন, শিক্ষাকে কখনও পিছনের আসনে রাখতে নেই। আর এই কথাটিই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে বিহানি। আর সেই কারণেই বিশ্বব্যাপী সংকটের মধ্যেও শিক্ষার্থীদের চাহিদাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে তারা। শিক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে একটি নতুন যুগের শুরু করেছে তারা। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই শুরু হয়েছে ডিজিটাল লার্নিং। বিভিন্ন ইন্টারেকটিভ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চলছে জোর কদমে।

অনলাইন শিক্ষার কার্যকারিতা বাড়াতে, শিক্ষকেরা অফলাইন এবং অনলাইন - এই দুটি পদ্ধতি মিলিয়ে একটি নতুন পদ্ধতির সূচনা করেছেন। অত্যন্ত সন্তর্পণে তৈরি বিভিন্ন স্টাডি মেটেরিয়ালস শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে, শিক্ষা ব্যবস্থার এহেন পরিবর্তন সত্যিই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আর তার মোকাবিলায় প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওয়ার্কশিট ভাগ করে নেন শিক্ষকেরা। এই ওয়ার্কশিটের সমাধানের মাধ্যমেই ছাত্র-ছাত্রীদের স্ব-মূল্যায়ণের স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে।

সদ্য গৃহীত এই ডিজিটাল লার্নিং পদ্ধতির কোনওরকম ফাঁক-ফোকড় ছেড়ে দিতে রাজি নন বিহানি অ্যাকাডেমির গোটা টিম। শিক্ষকেরা প্রতিনিয়ত নিজেদের মানোন্নয়ন করে চলেছেন। ছবি, প্রেজেন্টেশন, ভিডিও ইত্যাদির মাধ্যমে ক্লাসগুলিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই মুহূর্তে বিহানি অ্যাকাডেমির ক্যাম্পাসে রয়েছে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি, জিওগ্রাফি, হোম-সায়েন্স, ম্যাথ সহ দু'টি করে কম্পিউটার ও ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব। সোশ্যাল স্টাডিজের ল্যাবটি শিক্ষার্থীদের কাছে বিশেষভাবে আকর্ষণীয়। কারণ সেখানে রয়েছে হাতে-কলমে শেখার সুবিধা। এখানকার ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব দু'টিকে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের কমিউনিকেশন স্কিল বৃদ্ধি পায়। ক্যাম্পাসে ফিজিকাল ল্যাবের পাশাপাশি, এই সেশনের গুরুত্বকে মাথায় রেখে নতুন করে ভার্চুয়াল ল্যাবও তৈরি করা হয়েছে। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করলে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অনুশীলন করতে হয়। সেক্ষেত্রে ও-ল্যাব সাপ্লিমেন্ট স্টুডেন্টস - এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলি থিওরিটিক্যাল লার্নিয়ের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের সায়েন্স নিয়ে কেরিয়ার তৈরিতেও সাহায্য করে।

এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে স্কুলগুলি যখন রিমোটলি কাজ করছে, তখন বিহানি শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় শিক্ষা সামগ্রীর প্রতিনিয়ত যোগান দিয়ে চলেছে। এই বছর ওলিম্পিয়াডকে অনলাইন মোডে নিয়ে আসা হয়েছে। স্ব-মূল্যায়নের পদ্ধতি ছাত্রী-ছাত্রী উৎসাহিত করে এবং প্রতিযোগীতামূলক মনোভাব বজায় রাখে। গণিতের ভিত্তি পোক্ত করতে নিয়ে আসা হয়েছে মাইন্ডসপার্ক। যেটি গণিত শিক্ষাকে আরও আনন্দদায়ক করে তুলেছে। প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিহানি বরাবরই শিক্ষার্থীদের মুখস্ত বিদ্যার বদলে শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক পড়াশোনাকে উৎসাহিত করে। কোনও বিষয় সম্পর্কে ধারণা তৈরি করতে নিয়ে আসা হয়েছে 'অ্যাসেসমেন্ট অব স্কোলাসটিক স্কিলস থ্রু এডুকেশনাল টেস্টিং' (এএসএসইটি)। এই দুঃসময়ে দাঁড়িয়েও শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বুঝতে বিভিন্ন ওয়েবমিনার, ওয়ার্কশপ এবং প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছে বিহানি। ভার্চুয়াল কম্পিটিশনে ভাগ নেওয়া বা ন্যাশনাল ইভেন্টসগুলির সেলিব্রেশন শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বাড়াতে, তাদের শেখার প্রক্রিয়াকে পোক্ত করতে, রান্না-বান্না, সামাজিক মিথস্ক্রিয়া মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে। আর এই সমান উৎসাহ নিয়ে এখানকার শিক্ষার্থীরা সিবিএসই ইভেন্ট এবং প্রতিযোগীতাগুলিতে অংশ নেয়। অত্যন্ত স্বচ্ছন্দ এবং উদ্দীপনার সঙ্গে তারা এই নতুন পরিস্থিতিকে মানিয়ে নিয়েছে।

প্রতি মুহূর্তেই নতুনত্বকে উন্মুক্ত হস্তে স্বাগত জানিয়েছে এই স্কুল। সময়ের প্রয়োজনে হঠাৎ করে শিক্ষার প্রক্রিয়ায় আনা এই বদলের সঙ্গে অত্যন্ত দ্রুত মানিয়ে নিয়েছে এই স্কুল এবং সেই শিক্ষা ব্যবস্থার যথাযথ ব্যবহারও করা হয়েছে। সমস্ত প্রতিকূল পরিস্থিতির সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বিহানি অ্যাকাডেমি। বিভিন্ন উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে সমস্ত পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছে তারা। প্রত্যেকের সুরক্ষার স্বার্থে টেম্পারেচার স্ক্যানার এবং যথাযথ স্যানিটাইজেশন নিয়মিত অনুশীলনে পরিণত হয়েছে ক্যাম্পাসে। বিহানি বিশ্বাস করে, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় কিছু ইতিবাচক বদল হলেই বৃহত্তর ক্ষেত্রের স্বার্থসিদ্ধি হবে এবং তা শিক্ষা প্রক্রিয়ায় আর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে।

ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে অ্যাডমিশন। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে এবং তাদেরকে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে বিহানি অ্যাকাডেমিই হতে পারে আদর্শ গন্তব্য।

অ্যাডমিশনের বিষয়ে বিশদে জানতে লগ ইন করুন www.bihaniacademy.com অথবা ফোন করুন (০৩৩) ৩৫৩৫ ৩৫৩৫ নম্বরে। আপনি মেইলও করতে পারেন - enquiry@bihaniacademy.com এখানে।

অন্য বিষয়গুলি:

Education CBSE
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy