ফাইল চিত্র।
বিধাননগরে করোনার প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে। চিন্তায় পড়েছে পুর প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব মানতে বিধাননগর পুর ভবনে এ বার ভিড় নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে পুরসভা।
সূত্রের খবর, পুর ভবনে প্রতিদিন নানা কাজে বহু মানুষ যাতায়াত করেন। সেখানে কয়েক জন নিরাপত্তারক্ষী আছেন। এ বার তাঁদের পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি নিরাপত্তারক্ষী সরবরাহকারী সংস্থাকে নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে পুরসভা। তবে পুর ভবনের পাশাপাশি বরো অফিসগুলির ক্ষেত্রেও একই ভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণের চিন্তা-ভাবনা করা হবে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। করোনা পরিস্থিতিতে দূরত্ব-বিধি মানতে জোর দিচ্ছে প্রশাসন।
নবান্ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসে কর্মী থেকে সাধারণ মানুষের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করছে প্রশাসন। কিন্তু বিধাননগর পুর ভবনের ক্ষেত্রে পুরোপুরি তা মানা হচ্ছে না বলে একাংশের অভিযোগ।
পুর ভবনে মেয়র, মেয়র পারিষদ, আধিকারিক-সহ সকলেই নানা প্রয়োজনে যাতায়াত করেন। অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনেও অতিরিক্ত লোকজন অবাধে যাতায়াত করছেন পুর ভবনে। এমনকি কখনও কখনও একাংশকে মাস্ক ছাড়াই দেখা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, এই নিয়ে সরকারি কর্মী থেকে কাউন্সিলরদের একাংশ পুরসভার শীর্ষ কর্তাদের কাছে পদক্ষেপ করার জন্য মৌখিক ভাবে আর্জিও জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুর প্রতিনিধির কথায়, ‘‘করোনা হু হু করে ছড়াচ্ছে। তার মধ্যেও পরিষেবা বজায় রাখতে সকল পুরকর্মী, আধিকারিক, কাউন্সিলর আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু ভয় তো সকলেরই আছে। প্রচুর লোক ঢুকে পড়ছেন পুরসভায়। এক দিন তো ৪০-৫০ জন একসঙ্গে ভিড় করেছিলেন পুর ভবনে।’’
সল্টলেকবাসীদের একাংশ জানান, পরিষেবা সংক্রান্ত সমস্যার জন্য তাঁদের পুরসভায় যেতে হয়। নির্দিষ্ট জায়গায় অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু এক দল লোক ইচ্ছেমতো পুর ভবনে ঢুকে পড়ছেন। তাঁদের জন্য যেন কোনও নিয়ম থাকে না। ওই বাসিন্দাদের মতে, নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি, বিশেষত করোনা পরিস্থিতিতে।
অভিযোগ পুরোপুরি না মানলেও মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, মানুষ তাঁদের নানা প্রয়োজনে পুরসভায় যান। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আবেদন জানানো হয়। কিন্তু যে ভাবে করোনার প্রকোপ বাড়ছে, সেই পরিস্থিতিকে বিবেচনায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। অতিরিক্ত আরও নিরাপত্তারক্ষী রাখার চিন্তা-ভাবনাও করা হচ্ছে। ভিড় যাতে না হয়, আবার মানুষেরও যাতে পুরসভার কাজ মেটাতে সমস্যা না হয়, সব দিক দেখে পদক্ষেপ করা হবে। তবে অবাঞ্ছিত ভিড় বরদাস্ত করা হবে না বলেই জানান কৃষ্ণা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy