Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সম্পত্তিকর বকেয়ায় জরিমানার ভাবনা

বিধাননগর পুরসভার সম্পত্তিকর নিয়ে যাঁরা কাজ করেন সেই অ্যাসেসমেন্ট বিভাগের আধিকারিকেরা লক্ষ্য করেছেন, বহু লোক সম্পত্তিকর দিচ্ছেন না। বকেয়া পড়ে রয়েছে।

বিধাননগর পুরসভা।

বিধাননগর পুরসভা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৯ ০২:০৭
Share: Save:

সম্পত্তিকর বকেয়া থাকলে জরিমানার ব্যবস্থা কলকাতা পুরসভা আগেই চালু করেছে। এ বারে একই পদক্ষেপ করতে চলেছে বিধাননগর পুরসভাও। পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে সেপ্টেম্বর থেকে জরিমানা নেওয়া শুরু হবে। বকেয়া করের উপরে ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হতে পারে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।

বিধাননগর পুরসভার অধীনে ৪১টি ওয়ার্ড রয়েছে। বসত বাড়ি, ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান-সহ মোট হোল্ডিং রয়েছে প্রায় এক লক্ষ। তার মধ্যে সল্টলেকে হোল্ডিং রয়েছে প্রায় ২৬ হাজার এবং রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় হোল্ডিং রয়েছে ৭০ হাজারের মতো। এক কর্তার কথায়, ‘‘বিধাননগর পুরসভায় বর্তমানে বছরে ২০ কোটি টাকা সম্পত্তিকর আদায় হয়। বকেয়া কর নিয়মিত ভাবে পুরসভায় জমা পড়লে আয়ের পরিমাণ বেড়ে ২৫ কোটি টাকা হতে পারে।’’

বিধাননগর পুরসভার সম্পত্তিকর নিয়ে যাঁরা কাজ করেন সেই অ্যাসেসমেন্ট বিভাগের আধিকারিকেরা লক্ষ্য করেছেন, বহু লোক সম্পত্তিকর দিচ্ছেন না। বকেয়া পড়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জরিমানা বা পেনাল্টি ছাড়া কর আদায় করা সম্ভব নয় বলেই পুরসভা মনে করছে। তাই বাধ্য হয়েই বকেয়া থাকলেই ১৫ শতাংশ জরিমানা করার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে।

বিধাননগর পুরসভার এক কর্তার কথায়, ‘‘রাজারহাট-গোপালপুর এলাকা বিধাননগরের মধ্যে যুক্ত হওয়ার পরে ওই এলাকার প্রতিটি বাড়িতে সমীক্ষা করে সম্পত্তিকর নির্ধারণ করা হয়। সেই মতো বাড়ি বাড়ি করের বিলও যায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অনেকে কর বকেয়া রেখেছেন। সল্টলেকেও বেশ কিছু এলাকায় বকেয়া রয়েছে। সেই বকেয়া কর তুলতেই জরিমানা। কলকাতা পুরসভা জরিমানা করায় তাদের বকেয়া করের মাত্রা অনেকটা কমেছে।’’ সম্প্রতি বিধাননগর পুরসভার বোর্ডের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্পত্তিকর না পেলে পুর এলাকার উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

বিধাননগরে অর্থাভাবে দীর্ঘদিন রাস্তার কাজ হয়নি। শেষে রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছিল পুরসভা। ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় জানান, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর প্রয়োজনীয় অর্থ সহযোগিতা করছেন। কাজ শুরু হয়েছে। শুধু রাস্তা মেরামতিই নয়, বিভিন্ন প্রকল্প থেকে শুরু করে দৈনন্দিন বিভিন্ন পরিষেবা রয়েছে। ফলে পুর-প্রশাসনের অন্দরমহলেই প্রশ্ন উঠেছে যে, পুরসভার নিজস্ব আয়ের একটি বড় অংশ যখন সম্পত্তি কর থেকে উঠতে পারে, তখন তা আদায়ে কেন জোর দেওয়া হবে না। আয় বাড়লে পরিষেবার কাজ ব্যাহত হবে না।

ফলে কর বাবদ বকেয়া আদায়ে জোর দিচ্ছে পুরসভা। মেয়র সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘সম্পত্তি কর বকেয়া রয়েছে। পুরআইন মোতাবেক পদক্ষেপ করা হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Bidhannagar Municpality Property Tax KMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy