ভুয়ো কলসেন্টার থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩৫টি কম্পিউটার। নিজস্ব চিত্র।
কেতাদুরস্ত নাম, ১২০০ স্কোয়ারফুটের অফিস— সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে সেই অফিস থেকে চালানো হচ্ছিল ভুয়ো কলসেন্টার। অ্যামাজ়ন-মাইক্রোসফটের মতো নামী বহুজাতিক সংস্থার নাম করে ক্রেতাপরিষেবা দেওয়ার ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিদেশিদের থেকে অর্থও তুলছিল তারা। সেই কলসেন্টারে অভিযান চালিয়ে মালিক-সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছেন বিধাননগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম অফিসাররা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কলসেন্টারটির নাম উই কেয়ার সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের ডিএন-২ ভবনের ন’তলায় ছিল উই কেয়ারের অফিস। সেখানেই ডিরেক্টর সুমিত মাঝি এবং হাফিজুর রহমান সর্দারের অধীনে কাজ করছিলেন ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সি যুবকেরা। অ্যামাজ়ন-মাইক্রোসফটের মতো নামী সংস্থার গ্রাহক পরিষেবা দেওয়ার নামে এঁরা ক্রেতাদের ব্যক্তিগত কম্পিউটারে সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে ঢুকে পড়তেন। তার পর তাঁদের বাধ্য করতেন অর্থমূ্ল্য দিতে।
২০২০ সাল থেকে চলছিল এই জালিয়াতি। মূলত আমেরিকা, স্পেনে থাকা বিদেশিরাই ছিলেন এই ভুয়ো কলসেন্টারের কর্মীদের শিকার। গত বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই কলসেন্টারে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কলসেন্টার চালানোর কোনও বৈধ নথি বা চুক্তিপত্রই দেখাতে পারেনি সুমিত এবং হাফিজুর। এর পরই গ্রেফতার করা হয় ভুয়ো কলসেন্টারের দুই ডিরেক্টর-সহ ১১ জনকে। এ ছাড়া ওই কলসেন্টার থেকে ৩৫টি কমপিউটার, ১৪টি স্মার্টফোন, পাঁচটি হার্ড ডিস্ক-সহ আরও বেশ কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন, ফারুক মোল্লা, আজাদ আলি, হাফিজুর, জ্যোতির্ময় হালদার, অভিষেক শ, অবিনাশ প্রসাদ, কমলেশ ঝা, অনন্ত রায়, দেবজ্যোতি রায়, দীপক পাণ্ডে, সুমিত কুমার। পুলিশ সূত্রে খবর, এঁদের পুলিশ হেফাজতে চেয়ে বুধবারই তোলা হবে আদালতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy