Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Mysterious Death

ধুলো হয়ে গিয়েছে কঙ্কালের পরনের পোশাকও 

পুলিশের অনুমান, কোভিড-কালে মৃত্যু হয়েছে রাজীব বড়াল (৪০) নামে ওই ব্যক্তির। প্রাথমিক ভাবে কঙ্কালটি তাঁর বলেই মনে করছে পুলিশ।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:৪২
Share: Save:

কত দিন আগে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির? লেক টাউনের যশোর রোডের উপরে দোতলা বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটি পরীক্ষা করে এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা জানতে অপেক্ষা করা হচ্ছে কঙ্কালের ময়না-তদন্তের রিপোর্টের। আজ, বুধবার ওই বাড়িতে ফরেন্সিক দলের পর্যবেক্ষণ করতে যাওয়ার কথা।

পুলিশের অনুমান, কোভিড-কালে মৃত্যু হয়েছে রাজীব বড়াল (৪০) নামে ওই ব্যক্তির। প্রাথমিক ভাবে কঙ্কালটি তাঁর বলেই মনে করছে পুলিশ। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে কঙ্কালটি ওই বাড়ির শেষতম মালিক রাজীবেরই কি না, তা স্পষ্ট করতে চাইছে না পুলিশ।

সোমবার একটি পুজো মণ্ডপ তৈরির সময়ে বাঁশ বাঁধতে উঠে দোতলায় ঘরের মেঝেতে কঙ্কাল পড়ে থাকতে দেখেন এক শ্রমিক। পরে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে পায়ে চটি পরা অবস্থায় কঙ্কালটি উদ্ধার করে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, তিন-চার বছর আগে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। কারণ, চার বছর পরে কোনও কঙ্কালের হাড় ফুটো হতে থাকে। এই কঙ্কালটির সেই দশা। তার পরনে কোনও পোশাকও ছিল না। পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে থাকতে থাকতে পোশাকও ক্ষয়ে গিয়েছে। ঘরে তার প্রমাণ মিলেছে। কমিশনারেট সূত্রের দাবি, মৃত্যুর পরে দেহে জন্মানো ব্যাক্টিরিয়ার কারণে হাড় ছাড়া শরীরের বাকি অংশে, এমনকি পরনের পোশাকেও পচন ধরে। তবে অক্ষত রয়ে গিয়েছে প্লাস্টিকের চটিটি। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান সোমনাথ দাস বলছেন, ‘‘ব্যাক্টিরিয়া সমস্ত কিছুতে পচন ধরালেও প্লাস্টিক নষ্ট করতে পারে না। তাই চটি পায়ে থেকে গিয়েছে। অনেক ধরনের প্লাস্টিক আছে, যা দীর্ঘ বছর অক্ষত থেকে যেতে পারে।’’

এ দিন ওই বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা গেল, পুলিশ বাড়িটি বন্ধ করে দিয়েছে। বাড়িটির পাশে থাকা রাজীবের কয়েক জন আত্মীয় যদিও কোনও মন্তব্য করতে চাননি। লেক টাউন থানা জানিয়েছে, কঙ্কালটি উদ্ধারের সময়েও কোনও পরিজনের দেখা মেলেনি। এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, রাজীবরা কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন না। রাজীব তাঁর মাকেও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলতে দিতেন না। এক দোকানি জানান, কোভিডের সময়ে মায়ের মৃত্যুর পরে রাজীবকে দু’-এক বার বাইরে দেখা গিয়েছিল। তার পরে আর তাঁর দেখা মেলেনি। পাশেই থাকা একটি রেস্তরাঁর মালিক বীথি ঘোষ নামে এক মহিলা জানিয়েছেন, ‘‘বাড়িটি বন্ধ থাকায় অনেকের কৌতুহল ছিল। কিন্তু কেউই কোনও পদক্ষেপ করেননি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Skeleton police investigation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE