দিনকয়েক আগেই সামান্য ঝোড়ো হাওয়ায় গাছ ভেঙে পড়ায় সল্টলেকের রাস্তায় আহত হয়েছিলেন এক বাইকচালক। প্রতীকী ছবি।
দিনকয়েক আগেই সামান্য ঝোড়ো হাওয়ায় গাছ ভেঙে পড়ায় সল্টলেকের রাস্তায় আহত হয়েছিলেন এক বাইকচালক। যাত্রাপথ জানা না গেলেও সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র মোকাবিলায় আপাতত রাজ্য প্রশাসন ঘর গোছাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে যুঝতে কলকাতা পুরসভা ইতিমধ্যেই বড় বড় গাছের মাথার দিক ছাঁটার কাজ শুরু করেছে। সেই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, গাছ পড়লে যত দ্রুত সম্ভব রাস্তা পরিষ্কার করে দেওয়া হবে। পার্শ্ববর্তী বিধাননগর পুরসভাও বিপজ্জনক গাছ কাটতে শুরু করেছে।
বিধাননগর পুর এলাকায় সব চেয়ে বেশি গাছ রয়েছে সল্টলেকে। মাটিতে বালির ভাগ বেশি থাকায় সল্টলেকের বহু জায়গাতেই বড় বড় গাছের শিকড় আলগা হয়ে রয়েছে অনেক দিন ধরে। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রায় ৮০টি এমন গাছ চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলির শিকড় হয় আলগা, নয়তো অন্য কোনও কারণে কমজোরি হয়ে রয়েছে। যে কোনও সময়ে ভেঙে পড়তে পারে। সেই ধরনের গাছ ‘মোকা’র আগে কেটে ফেলা হবে।
পুরসভার পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ রহিমা বিবি বলেন, ‘‘ঘূর্ণিঝড়ের কারণে নয়, এই ধরনের বিপজ্জনক গাছ অনেক দিন ধরেই পুরপ্রতিনিধিরা চিহ্নিত করে রেখেছেন। যে সব গাছের অবস্থা একেবারে করুণ, সেগুলি ঝড়ের আগেই কেটে ফেলা হবে। সেই কাজ শুরু হয়েছে।’’ তিনি জানান, অতি বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা ৩০টির মতো গাছ কেটে দেওয়া হয়েছে। হেলে পড়া কিংবা অন্য সমস্যায় জীর্ণ গাছগুলির মাথার দিক ছেঁটে দেওয়া হচ্ছে। যাতে ঝড়ে সেগুলি উপড়ে না পড়ে। প্রসঙ্গত, বিপজ্জনক গাছ চিহ্নিত করতে গত বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিশেষজ্ঞ দলকে ডেকেছিল পুরসভার পরিবেশ বিভাগ।
কলকাতা পুরসভা অবশ্য বিপজ্জনক গাছের ঝুঁকি আপাতত এড়ানো গিয়েছে বলেই দাবি করেছে। তারা জানিয়েছে, আমপানের পরে এই ধরনের গাছ চিহ্নিত করতে সমীক্ষা হয়। পুরসভার উদ্যান বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘আমপানের পরেই বন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিপজ্জনক গাছ কেটে ফেলা হয়েছিল। তার পরে সারা বছরই গাছের মাথা ছাঁটার কাজ হয়। এতে গাছ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা কমে।’’
কিন্তু সল্টলেকের ক্ষেত্রে ঝড়ের সময়ে বড় গাছ উপড়ে সমস্যার সৃষ্টি করে। অতীতে গাছ পড়ে বাড়ির ক্ষতি হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে বিডি ব্লকে। গত বছর এক বৃষ্টির দিনে সল্টলেকের অনিন্দিতা এলাকায় ক্যাবের উপরে গাছ ভেঙে পড়েছিল। কোনও মতে রক্ষা পান চালক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy