—প্রতীকী চিত্র।
বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করার জন্য এ বার ফি নেওয়া শুরু করল বরাহনগর পুরসভা। গত মে মাসে এই বিষয়ে প্রথম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন পুর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এত দিন তা চালু করা যায়নি। তবে গত ১ নভেম্বর থেকে এই পদ্ধতি চালু করে ভাল সাড়া মিলছে বলে দাবি পুর কর্তাদের।
বরাহনগর পুরসভা সূত্রের খবর, গত তিন দিনে বর্জ্য সংগ্রহের ফি বাবদ ২৮ হাজার ৪২০ টাকা সংগ্রহ হয়েছে। বরাহনগরের প্রতিটি বাড়িতে যতগুলি আলাদা আলাদা পরিবার রয়েছে, তাদের সকলের থেকে মাসে ২০ টাকা করে নেওয়া হবে। এমন ৮৬০৭৬টি পরিবার চিহ্নিত হয়েছে। তাতে মাসে ১৭২১৫২০ টাকা আয় হবে পুরসভার। পুর কর্তারা জানাচ্ছেন, হাতে হাতে দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনেও ওই ফি নেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। সেই পোর্টাল চালু করার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে গিয়েই এই ফি নেওয়ার পরিকল্পনা কার্যকর করতে কয়েক মাস দেরি হয়েছে।
বরাহনগরের ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপনারায়ণ বসু বলেন, ‘‘শুধু আয় বাড়ানোই এর একমাত্র লক্ষ্য নয়। পুর এলাকাকে সাফসুতরো রাখতেই এমন ভাবনা। কারণ, অনেক সময়েই দেখা যায় বাসিন্দারা যত্রতত্র আবর্জনা ফেলছেন। সেটি আটকানো এর প্রধান উদ্দেশ্য।’’ তিনি আরওজানাচ্ছেন, এই ফি দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যাতে বাসিন্দাদেরওমনে হয়, যখন টাকা দিচ্ছি, তখন পুরসভার গাড়িতেই ময়লা-আবর্জনা ফেলব। তাতে এলাকাও যেমন সুন্দর থাকবে, তেমনই পরিবেশ দূষণও কমানো সম্ভব হবে। পুর কর্তারা জানাচ্ছেন, নীল ও সবুজ রঙের বালতিতে পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্য আলাদা করার জন্য সব বাড়ি বাড়ি সেগুলি দেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে। কিন্তু তার পরেও পুর বাসিন্দাদের কারও কোনও হেলদোল ছিল না। কিন্তু এ বার আবর্জনা সংগ্রহের জন্য মূল্য দিতে হবে বলে বাসিন্দারাও সজাগ থাকবেন বলে আশা পুরসভার।
পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থা আইন (২০১৬) এবং রাজ্য পুর আইন (১৯৯৩) অনুযায়ী এই ‘ইউজ়ার্স ফি’ বা ব্যবহারিক মূল্য সংগ্রহ করা শুরু করেছেন পুর কর্মীরা। ‘নির্মল সাথী’ প্রকল্পের কর্মীরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে তা সংগ্রহ করছেন। ফি নিয়ে তার জন্য রসিদও দেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy