Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

‘জালিয়াতি’, ধৃত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার

ভূতের সন্ধান মিলল সর্ষের ভিতরেই । ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে তার বিনিময়ে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে ক্রেডিট কার্ডের সর্বোচ্চ সীমার টাকা। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এ বার ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কেরই এক ম্যানেজারকে গ্রেফতার করল বিধাননগর (উত্তর) থানার পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৭ ০১:২১
Share: Save:

ভূতের সন্ধান মিলল সর্ষের ভিতরেই ।

ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে তার বিনিময়ে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে ক্রেডিট কার্ডের সর্বোচ্চ সীমার টাকা। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এ বার ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কেরই এক ম্যানেজারকে গ্রেফতার করল বিধাননগর (উত্তর) থানার পুলিশ। ধৃতের নাম সুতীর্থ সাহা বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

২০১৫ সালে ওই ঘটনা ঘটে। সল্টলেকের বিডি ব্লকে রয়েছে ব্যাঙ্কটি। তদন্তকারীরা জানান, ন’টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। পাঁচ লক্ষ টাকা জমাও পড়েছিল সেই অ্যাকাউন্টে। কিন্তু জালিয়াতি শুরু হয় ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে।

কেমন ভাবে?

বিধাননগর (উত্তর) থানার পুলিশ জানায়, ওই ন’টি অ্যাকাউন্টের মালিককে ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে ক্রেডিট কার্ড গছানোর ‘নাটক’ করা হয়। কারণ প্রতিটি অ্যাকাউন্টই খোলা হয়েছিল ভুয়ো পরিচয় দিয়ে। এক বছর পরে তা বোঝা যায়। তত দিনে ন’টি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ন’টি অ্যাকাউন্ট থেকে ১৮ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা ব্যাঙ্কের সিন্দুক থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।

২০১৬ সালে ব্যাঙ্কের তরফ থেকে বিধাননগর (উত্তর) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তকারীরা জানান, ব্যাঙ্ক যখন জানতে পারে যে ভুয়ো অ্যাকাউন্টধারীর নামে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু হয়েছে এবং ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ওঠানো টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে না, তখনই তারা পুলিশে অভিযোগ করে। সেই অভিযোগ পাওয়ার পরে তদন্তকারীদেরও সন্দেহ হয় কেন বিষয়টি সামনে আসতে সময়
লাগল। তখনই পুলিশের সন্দেহ হয় যে ব্যাঙ্কের ভিতরেই রহস্যের জট লুকিয়ে আছে।

সেই সন্দেহ নিশ্চিত করতেই পুলিশ অনুপম দত্ত ও উজ্জ্বল কুণ্ডু নামে ওই ব্যাঙ্কেরই দুই কর্মীকে গ্রেফতার করে। তদন্তকারীরা জানান, দুই কর্মীকে জেরা করে ব্যাঙ্কের রিলেশনশিপ ম্যানেজার সুতীর্থ সাহার নাম জানা যায়। শুক্রবার রাতে সুতীর্থকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গোটা ঘটনার ছক সুতীর্থই কষেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। কারণ অ্যাকাউন্টধারীর পরিচয়ের সত্যতা যাচাই হয়েছে। সেই তথ্য ব্যাঙ্ককে দেওয়ার কাজ ছিল সুতীর্থরই। পুলিশের ধারণা, সুতীর্থ জানেন ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কে বা কারা ব্যাঙ্কের টাকা তুলে গা ঢাকা দিয়েছে। রহস্যের জট ছাড়াতে সুতীর্থকে জেরা করা হবে বলেই জানিয়েছে বিধাননগর (উত্তর) থানার পুলিশ।

অন্য বিষয়গুলি:

Bank Manager Fraud
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy