প্রতীকী ছবি।
ডেঙ্গির প্রকোপে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ সরকার। সেই রোগ মোকাবিলায় কী কর্মসূচি নিতে হবে, তা জানতে কলকাতা আসতে চায় ওই দেশের প্রতিনিধিদের একটি দল। সোমবার এ বিষয়ে কলকাতা এবং ঢাকা উত্তর পুরসভার মধ্যে ভিডিয়ো কনফারেন্স হল। ডেঙ্গি দমনে গত আট বছরে কলকাতা পুরসভা কী ভাবে কাজ করেছে, সে কথা জানানো হয় ঢাকা উত্তর পুরসভার কর্তাদের। ভিডিয়ো কনফারেন্সে কলকাতা পুর ভবনে ছিলেন পুর স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ এবং কলকাতাস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাই-কমিশনার তৌফিক হোসেন। অন্য প্রান্তে ছিলেন ঢাকা উত্তর পুরসভার মেয়র আতিকুল ইসলাম-সহ আধিকারিকেরা।
কলকাতা কী ভাবে ডেঙ্গির মোকাবিলা করেছে, জানতে চান ঢাকার মেয়র। অতীনবাবু জানান, পরিকল্পনা মাফিক দীর্ঘদিনের কর্মসূচি এটি। কলকাতা পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ দেবাশিস বিশ্বাস জানান, শহরের যে সব ওয়ার্ডে জল জমার প্রবণতা রয়েছে, সেই সব অঞ্চলের মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়াও শহর জুড়ে রয়েছেন ‘মর্নিং ডেটা কালেক্টর’, যাঁদের কাজ হল মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে কোনও হাসপাতাল, নার্সিংহোম বা ক্লিনিকে কেউ ভর্তি হয়েছেন কি না সেই খোঁজ রাখা। ওই ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা পুরসভায় দেওয়া হয়। সেই মতো এলাকায় গিয়ে মশা দমনে ব্যবস্থা নেয় পুরসভার দল। কিছু এলাকায় মশার উৎস সন্ধানে ড্রোনও ব্যবহার করা হচ্ছে।
পুর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা তপন মুখোপাধ্যায় জানান, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ‘ন্যাশনাল ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম’-এর নির্দেশিকা মেনে কাজ করা হয়। তার সুফলও পাওয়া গিয়েছে। সব শুনে হাতেকলমে শিক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখান ঢাকার মেয়র এবং তাঁর পারিষদেরা। বাংলাদেশের এক মন্ত্রী তাজুল ইসলাম গত শনিবার কলকাতা পুর ভবনে এসে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা করে ডেঙ্গি দমনের কাজে কলকাতা পুরসভার সহায়তা চেয়েছিলেন। অতীনবাবু বলেন, ‘‘ওঁরা কলকাতায় এসে হাতেকলমে কাজ শিখতে চান। আমরা স্বাগত জানিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy