Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Bangladesh MP

বাংলাদেশের সংসদ সদস্য ‘খুনে’ পরতে পরতে রহস্য! তদন্তভার হাতে নিয়েই অকুস্থলে সিআইডি কর্তা

সিআইডি সূত্রে খবর, নিউ টাউনের যে আবাসনে আনওয়ারুল ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে, সেই ফ্ল্যাটটির মালিক সরকারি কর্মচারী জনৈক সন্দীপ। তিনি আখতারুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে ফ্ল্যাটটি ভাড়া দেন।

বাংলাদেশের সংসদ সদস্যের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে সিআইডি।

বাংলাদেশের সংসদ সদস্যের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে সিআইডি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২৪ ১৭:৪৮
Share: Save:

চিকিৎসা করাতে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসেছিলেন সে দেশের সংসদ সদস্য আনওয়ারুল আজিম। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হল না। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, কলকাতায় পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে আনওয়ারুলকে। যদিও এখনও বাংলাদেশের সংসদ সদস্যের দেহ উদ্ধার হয়নি। সূত্রের খবর, এই ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। তার পরেই নিউ টাউনের অভিজাত আবাসন ঘুরে যান সিআইডির আইজি অখিলেশ চতুর্বেদী।

এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, গত ১২ মে ভারতে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন আনওয়ারুল। প্রথমে উঠেছিলেন বরাহনগরে তাঁরই এক বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে। দিন দুয়েক সেখানে থাকার পর এক দিন বাড়ি থেকে বেরোন আনওয়ারুল। তার পর থেকেই আর তাঁর খোঁজ মিলছিল না। বাংলাদেশে আনওয়ারুলের পরিবারও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে অগত্যা গোপালের সঙ্গে যোগাযোগ করে। গোপাল তাঁদের জানান, তিনিও আনওয়ারুলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। সিআইডির আইজি অখিলেশ জানিয়েছেন, খোঁজ না পেয়ে গোপাল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে একটি দল গঠন করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। অখিলেশ বলেন, ‘‘সেই তদন্ত চলছিল। তার মধ্যে ২২ মে আমরা জানতে পারি, ওঁকে খুন করা হয়েছে। শেষ বার যেখানে তাঁকে দেখা গিয়েছিল, সেই জায়গাটি খুঁজে বার করে স্থানীয় থানা। এর পরে সিআইডিকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়।’’

সিআইডি সূত্রে খবর, নিউ টাউনের যে আবাসনে আনওয়ারুল ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে, সেই ফ্ল্যাটটির মালিক সরকারি কর্মচারী জনৈক সন্দীপ। তিনি আবার আখতারুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে ফ্ল্যাটটি ভাড়া দেন। সিআইডির আইজি জানিয়েছেন, আখতারুজ্জামান আমেরিকার নাগরিক। কিন্তু আখতারুজ্জামানের নামে ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটে কী করে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য থাকলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে অখিলেশকে প্রশ্ন করা হলেও তিনি জবাব দেননি।

আনওয়ারুল যে নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে আছেন, তা জানা গেল কী ভাবে? অখিলেশ বলেন, ‘‘১৮ তারিখে একটি নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তার পর ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট একটি এসআইটি গঠন করে। সেই তদন্ত করতে গিয়েই আমরা খবর পাই।’’ নিউ টাউনের আবাসনের ফ্ল্যাটে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহের কাজ করেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। রক্তের দাগ বাংলাদেশের সংসদ সদস্যেরই কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। সিআইডি কর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সংসদ সদস্যের দেহ এখনও উদ্ধার হয়নি।

বাংলাদেশের দৈনিক সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশিত এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, গত ১২ মে দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন আনওয়ারুল। উদ্দেশ্য ছিল চিকিৎসা করানো। ১৪ মে পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। তবে ১৬ মে সংসদ সদস্যের ফোন থেকে আনওয়ারুলের ব্যক্তিগত সহকারী আবদুর রউফের কাছে ফোন আসে। তিনি ফোন ধরতে পারেননি। পরে আবার তিনি ফোন করলে ফোনটি বন্ধ পেয়েছেন। এর পর থেকে সংসদ সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy