নিজস্ব চিত্র
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ‘অন্যায়’ করেছেন। তাই সারাক্ষণ আতঙ্কে ভুগছেন। বলছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। যিনি ঘটনাচক্রে, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং বৈশাখীর বর্তমান বন্ধুর স্ত্রী। বৈশাখী কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে রত্নার নামে তাঁকে প্রকাশ্যে খুনের হুমকি দেওয়ার লিখিত অভিযোগ করেছেন। তার জবাবে রত্না বলেছেন, বৈশাীখী নিরাপত্তা পাওয়ার জন্য ওই চিঠি দিয়েছেন। কারণ, বৈশাখীকে নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরতে হয়।
ঘটনাপ্রবাহে রত্না এখন শাসকদলের বিধায়কও বটে। শোভনের ছেড়ে-যাওয়া বেহালা পূর্ব বিধানসভা আসনে রত্নাকে টিকিট দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রত্না জিতেছেন। কিন্তু শোভন-বৈশাখী বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়েনি। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে শৌভন-বৈশাখীর তৃণমূলের ফিরে আসা নিয়ে জল্পনা। সেই বিষয়টি থিতিয়ে যাওয়ার আগেই বৈশাখী রত্নার নামে পুলিশে অভিযোগ করে বসেছেন। বুধবার বৈশাখীর ওই অভিযোগের জবাবে বৃহস্পতিবার শোভন-জায়া বলেন, ‘‘উনি (বৈশাখী) নিরাপত্তা পাওয়ার জন্য অনেক কিছু করেন। কারণ, এর আগে যখন উনি বিজেপি-তে যোগদান করেছিলেন, তখনও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বার বার করে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। আসলে উনি এত অন্যায় করেছেন যে, ওঁর নিরাপত্তার প্রয়োজন হয়।’’ রত্নার আরও বক্তব্য, ‘‘আমাদের তো কোনও নিরাপত্তার প্রয়োজন হয় না! আমরা তো নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াই সারা কলকাতা শহরে ঘুরে বেড়াই। কারণ আমরা জানি, আমরা কোনও অন্যায় করিনি। তাই আমাদের গায়ে হাত দেওয়ার সাহসও কারও নেই। উনি এত অন্যায় করেছেন, তাই সারাক্ষণ আতঙ্কে ভোগেন। আর ভাবেন, কেউ না কেউ ওঁকে মারবে।"
বৈশাখীর অভিযোগ সরাসরি খন্ডন করে বেহালা পূর্বের বিধায়ক আরও বলেছেন, ‘‘আমি কখনওই বলিনি, শোভন চট্টোপাধ্যায় বা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে পেটাব। আমি বলেছি, ‘হানি ট্র্যাপ’ হিসেবে মনোজিৎ মন্ডল (বৈশাখীর স্বামী) ওঁকে শোভনের কাছে পাঠিয়েছিল। আমি বলেছি, তাই ওঁদের ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে পেটানো হোক! আমি কখনও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম বলিনি।’’ রত্না আরও বলেন, ‘‘উনি (বৈশাখী) নানা অজুহাতে সিকিউরিটি চান। ওঁর মনের ভিতর যে সব কদর্য ভাবনা আছে, সেগুলোই উনি অন্যের দিকে অভিযোগ করে বলেন। তাই উনি ভাবেন, আমি অভিযোগ করেছি। এবার হয়তো আমাকে পেটাবে!’’ প্রসঙ্গত, বৈশাখীর অভিযোগ, ‘‘উনি (রত্না) প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আমাকে এবং শোভনকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে পেটানো হবে! উনি তো কোনও সাধারণ মানুষ নন। উনি এখন একজন বিধায়ক। ওঁর প্রভাব-প্রতিপত্তি আছে। তাই আমি আতঙ্কিত। সেই কারণেই পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।’’ পুলিশ কমিশনারকে দেওয়া চিঠিতে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শোভন-বান্ধবী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy