প্রতীকী ছবি
কেউ কিছু জানতে পারছে না, ভাঙাও হচ্ছে না এটিএম। অথচ সেই এটিএম থেকে জালিয়াতি করে টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে। আর তা হচ্ছে খাস কলকাতাতে। ন’দিন ধরে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা জালিয়াতি হয়েছে শহরে। উত্তর কলকাতার কাশীপুর, মধ্য কলকাতার নিউমার্কেট ও দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর এলাকার ৩টি এটিএম কাউন্টারে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউমার্কেটের একটি এটিএম থেকে ১৮ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, যাদবপুরের একটি এটিএম থেকে ১৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ও কাশীপুরের একটি এটিএম থেকে ৭ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তদন্তে নেমেছে লালবাজারের গোয়েন্দারা।
পুলিশ সূত্রে খবর, এটিএম থেকে টাকা তুলতে জালিয়াতরা একটি যন্ত্রের সাহায্য নিচ্ছে। এই যন্ত্র্রের সাহায্যেই চলছে এই সব কাণ্ড। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, যত অঙ্কের টাকা তোলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে মেশিনকে, তার থেকে কয়েকগুণ বেশি টাকা বেরিয়ে আসছে এটিএম থেকে।
মেশিন ভাঙা হচ্ছে না। ঠিক যেমন ভাবে টাকা তোলা হয়, সে ভাবেই কার্ড ঢুকিয়ে টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, এটিএম-এর সঙ্গে একটি তার দিয়ে ওই যন্ত্রটি সংযোগ করা হচ্ছে। তার পর কার্ড ঢুকিয়ে যত অঙ্কের টাকা তোলার জন্য নম্বরে চাপ দেওয়া হচ্ছে, তার থেকে বেশি টাকা বেরিয়ে আসছে মেশিন থেকে।
লালবাজারের গোয়েন্দাদের সূত্রে খবর, এটিএমের সফটওয়্যারে কারিকুরি করেই এই জালিয়াতি করা হচ্ছে। গ্রাহক কার্ড ঢোকানোর পর মেশিন সাধারণত ‘কমান্ড’ অনুযায়ী কাজ করে। যেমন কোনও গ্রাহক যদি ২০ হাজার টাকা তোলার জন্য ‘কমান্ড’ দেন, তবে সেই মোতাবেক মেশিন স্থির করে ২০ হাজার দেওয়া হবে। ঠিক এই প্রক্রিয়া চলাকালীনই মেশিনে কারচুপি করছে প্রতারকরা। অনুমান ব্যাঙ্কের সঙ্গে সংযোগকারী তার বদলে দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে ২০ হাজার টাকার জন্য ‘কমান্ড’ দেওয়া হলেও মেশিন দিচ্ছে তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি টাকা। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নেমেছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। গোয়েন্দাদের অনুমান, একটি বিশেষ ধরনের এটিএম মেশিনই জালিয়াতদের লক্ষ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy