বাঁ দিক থেকে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, হেমলতা দেবী।
যদি কোন শিক্ষার্থী স্বরলিপির কোন অংশ ঠিক বুঝিতে না পারেন, তাহা হইলে আমাকে পত্রের দ্বারা জানাইলে, আমি তাহা বুঝাইয়া দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করিব। অথবা সশরীরে কোন গান যদি মৌখিক শুনিতে ইচ্ছা করেন, কিম্বা নিয়মিতরূপে গান শিক্ষা করিতে চাহেন,... তাহারও বন্দোবস্ত করা যাইতে পারে।” স্বরলিপি গীতিমালা-র ‘গ্রন্থকারের নিবেদন’-এ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ প্রস্তাব পড়ে আশ্চর্য হতে হয়। ঠাকুর পরিবারের গানের শিকড় ও ডালপালা দুই-ই বিস্তৃত, অথচ এক রবীন্দ্রনাথ ছাড়া আর ক’জন গীতরচয়িতার গানের খবরই বা রেখেছি আমরা! রবীন্দ্রগান যে ভাবে স্বরলিপি-গ্রন্থমালায় রক্ষিত, তেমন করে কি পাই ঠাকুরবাড়ির অন্য নক্ষত্রদের গান?
এই প্রশ্নই ভাবিয়েছিল তরুণ দুই গায়ক-গবেষক সুকান্ত চক্রবর্তী ও অভিজিৎ মজুমদারকে। গত দশ বছর ধরে তাঁরা মগ্ন রবীন্দ্রনাথ ছাড়া জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অন্য গীতরচয়িতাদের গান ও স্বরলিপি সাজিয়ে-গুছিয়ে তোলার কাজে। তারই ফসল অডিয়ো-বুক প্রকল্প— জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সংগীতলিপি ও গীতরূপ সংরক্ষণ গ্রন্থমালা। আগামী ১৫ ও ১৬ মে, জোড়াসাঁকো প্রাঙ্গণে রথীন্দ্র মঞ্চে দু’দিন ব্যাপী এক উৎসবে প্রকাশের আলো দেখবে এই প্রকল্পের দু’টি খণ্ড। প্রথম খণ্ডে রয়েছে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অদ্যাবধি মুদ্রিত ও স্বরলিপিবদ্ধ ৭টি গানের মোট ৮টি গীতরূপ ও দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৩০টি গানের ৩৩টি গীতরূপ। দ্বিতীয় খণ্ডে দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সুরারোপিত ২৪টি গান (যার মধ্যে তাঁর নিজের রচিত ১৫টি), স্বর্ণকুমারী দেবীর ৭টি ও সুধীরচন্দ্র করের ২টি; এ ছাড়াও দ্বিজেন্দ্রনাথ-পুত্র দ্বিপেন্দ্রনাথের স্ত্রী হেমলতা দেবীর ৯টি গান, যার দু’টি গানের সুরকার রবীন্দ্রনাথ।
ঠাকুরবাড়ির গানের স্বরলিপি ও গীতরূপ (রেকর্ড) সম্বলিত এ এক ব্যতিক্রমী সঙ্কলন। সুকান্ত-অভিজিতের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান ‘অরণি’ আগাগোড়া যুক্ত এই ব্রতে, অডিয়ো-বুকের গানগুলি গেয়েছেন দুই বাংলার নবীন শিল্পীরা। এ এক বহতা ধারা, কারণ ঠাকুরবাড়ির নতুন গান ‘আবিষ্কৃত’ হচ্ছে এখনও। সমগ্র প্রকল্পটিতে অনধিক ত্রিশটি খণ্ডের, কিংবা প্রকাশিত খণ্ডেরও নতুন সংস্করণের সম্ভাবনা তাই অমূলক নয় আদৌ।
এই উৎসব উৎসর্গ করা হবে শঙ্খ ঘোষ ও অরুণকুমার বসুর স্মৃতি ও শ্রদ্ধায়। রয়েছে আন্তর্জাতিক কর্মশালা, সাংস্কৃতিক নানা আয়োজন, গুণিজন সম্মাননা, ঠাকুরবাড়ির গান। থাকবেন আন্দালিব ইলিয়াস পবিত্র সরকার সবুজকলি সেন অনুপ মতিলাল সুধীরঞ্জন মুখোপাধ্যায় বিদুষী রাজ্যশ্রী ঘোষ প্রমুখ; বাংলাদেশের শিল্পী বুলবুল ইসলাম ও শারমিন সাথী ইসলাম; সম্মাননায় ভূষিত হবেন রবীন্দ্রভারতী প্রদর্শশালা ও বিশ্বভারতী রবীন্দ্রভবনের প্রাক্তন অবেক্ষক ইন্দ্রাণী ঘোষ এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রসঙ্গীত বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান তপশ্রী দাস। সুকান্ত ও অভিজিৎ নিবেদন করবেন দিনেন্দ্রনাথের জীবনকৃতি-আধারিত গীতি আলেখ্য ‘আমার বেদনা লহ বুঝি’; সাঙ্গীতিক পরিবেশনায় তপতী সেনগুপ্ত দেবাশিস রায়চৌধুরী রোহিণী রায়চৌধুরী এবং রবীন্দ্রভারতীর রবীন্দ্রসঙ্গীত বিভাগের গুণিজন। ছবিতে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, হেমলতা দেবী ও দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
শুধু সত্যজিৎ
২০১৬ থেকে নানা বিষয় নিয়ে প্রদর্শনী করছে ‘কলকাতা কথকতা’, শহরের সংগ্রাহক, গবেষক, লেখকেরা যুক্ত এতে। তাঁদেরই সঙ্গী এ বার আইজ়েনস্টাইন সিনে ক্লাব, বেঙ্গল গ্রুপ ও সত্যজিৎ রায় আর্কাইভস: উপলক্ষ সত্যজিৎ রায়কে (ছবি) নিয়ে প্রদর্শনী। ‘শুধুই সত্যজিৎ’ নামের এই প্রদর্শনী গোর্কি সদনে ১৬ থেকে ১৮ মে, বিকেল ৪টা থেকে সন্ধে ৭টা, উদ্বোধন করবেন সন্দীপ রায়। অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায় ঋদ্ধি গোস্বামী অনিন্দ্য কর ফাল্গুনী দত্ত রায় উৎপল সান্যাল জয়ন্ত ঘোষ মলয় সরকার সৌভিক মুখোপাধ্যায় শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় উজ্জ্বল সরদার চন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়রা থাকবেন তাঁদের সংগ্রহ নিয়ে:জয় বাবা ফেলুনাথ ছবির গোল তাস, হীরক রাজার দেশে-র দোতারা,ঘরে বাইরে, শতরঞ্জ কে খিলাড়ি ছবির ‘প্রপ’, সোনার কেল্লা ও জন অরণ্য ছবির চিত্রনাট্য-অংশ; নানা ছবির লবি কার্ড, বুকলেট, বিজ্ঞাপন, পোস্টার; নিমাই ঘোষ ও অসিত পোদ্দারের তোলা ছবি; সত্যজিতের লেখা চিঠি, স্কেচ, প্রচ্ছদচিত্র; বই, পত্রিকা, ক্যালেন্ডার।
শতবর্ষী
এই শহরেই এক সময় সকালে দক্ষিণী, বিকেলে গণনাট্য— রুটিন ছিল কলিম শরাফীর। সে এক অদ্ভুত সময়, অচিন মানুষেরা জুড়ে ছিলেন রাজনীতি শিল্প সাহিত্য মনন-অঙ্গন, দুর্ভিক্ষ দাঙ্গা দেশভাগের পরেও। বীরভূমে জন্ম, কৈশোরে নেতাজির হলওয়েল মনুমেন্ট অপসারণ আন্দোলনে যোগদান, পরে ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনেও। জেলে গিয়েছেন, একত্রে গান গেয়েছেন আর কাজ করেছেন মানুষের, উত্তর কলকাতায় কমিউনে থেকেছেন শম্ভু মিত্র সুধী প্রধানদের সঙ্গে, ‘বহুরূপী’ প্রতিষ্ঠার ইতিহাসেও তাঁর পাকা ঠাঁই। আর ছিল রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর গান, এই শহরে, পরাধীন ও স্বাধীন বাংলাদেশে তাঁর বাকি জীবনভরও। গত ৮ মে শহর মেতে ছিল রবীন্দ্রজয়ন্তীতে, সে দিনই জন্মদিন কলিম শরাফীর, পূর্ণ হল জন্মশতবর্ষও। কলকাতা জানে?
বিজয়িনী
তিন সন্তান নিয়ে ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন বেবী হালদার। কৈশোরে বিয়ে ও মাতৃত্ব, ভয়াবহ গার্হস্থ হিংসার অভিজ্ঞতা। শ্রমজীবী জীবনের নিপীড়নের মধ্যে গুরুগ্রামে আশ্রয় পেয়েছিলেন প্রেমচন্দের দৌহিত্র প্রবোধ কুমারের কাছে। তাঁর উৎসাহে লেখা আত্মজীবনী আলো আঁধারি হিন্দি, ইংরেজি-সহ তেইশটি ভাষায় অনূদিত হয়ে তাঁকে পরিচিত করায় পৃথিবীর পাঠকদের সঙ্গে। আত্মজীবনীর তিনটি খণ্ড আলো আঁধারি, ঈষৎ রূপান্তর ও ঘরে ফেরার পথ সম্প্রতি একত্রে প্রকাশিত হয়েছে, কবে আমি বাহির হলেম নামে। আজ সন্ধ্যায় রোটারি সদনে এই বইটির জন্য বেবী ভূষিত হবেন নমিতা চট্টোপাধ্যায় সাহিত্য সম্মানে। সাহিত্যানুরাগী নমিতা চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিতে কন্যা অনিতা অগ্নিহোত্রীর উদ্যোগে এই সম্মান দশম বছরে পড়ল।
প্রত্যাবর্তন
কবিপক্ষে সুসংবাদ, শহরে নতুন করে ফিরছে ‘ইন্ডিয়ান সোসাইটি অব ওরিয়েন্টাল আর্ট’। ভারতীয় ও প্রাচ্যচিত্রকলা-রীতির নবতরঙ্গ বইয়ে দেওয়া সেই ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান, যার অঙ্গাঙ্গি অবনীন্দ্রনাথ ও গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, হ্যাভেল, উড্রফ, আনন্দ কুমারস্বামীরা। এখনকার দায়িত্বে যাঁরা, তাঁরা পরিকল্পনা করেছেন প্রদর্শনী, শিল্প প্রশিক্ষণ, শিল্প-পাঠের। সোসাইটি-র জার্নাল ও ‘রূপম’ প্রকাশনা বিখ্যাত ছিল শিল্পমহলে, চেষ্টা চলছে নতুন করে প্রকাশনা শুরুরও। এই সবেরই নান্দীমুখ বার্ষিক প্রদর্শনী দিয়ে, আগামী ১৫ থেকে ২১ মে, বেলা ১২টা-রাত ৮টা, অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে। উদ্বোধনে থাকবেন প্রশান্ত দাঁ, বিমল কুণ্ডু প্রমুখ।
ওঁদের জন্য
কোভিডকালে ভারতে সামাজিক আন্দোলনের মুখ ছিলেন কৃষকরা। কৃষি বিল বাতিল, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবিতে পড়ে থেকেছিলেন দিল্লিগামী হাইওয়েতে; সেখানেই খুলেছিল লঙ্গর, লাইব্রেরি, প্রেস। আন্দোলনের বাকি দাবি পূরণের উদ্দেশ্যে এ বছরের শুরুতেও জেগে ওঠেন কৃষকরা, ফের ডাক ‘দিল্লি চলো’। কী অবস্থায় আছেন এখন ওঁরা? নির্বাচনে কোন প্রভাব পড়বে কৃষক আন্দোলনের? ওঁদের প্রস্তাবে ভারতের কৃষি-অর্থনীতির আগামী পথটি কেমন? পিপল’স ফিল্ম কালেক্টিভ-এর উদ্যোগে ১২ মে সন্ধ্যা ৬টায় সুজাতা সদনে আলোচনা এই নিয়ে, থাকবেন পাভেল কুসসা, আন্তর্জালে পঞ্জাবের সাংবাদিক দলজিৎ আমি। দেখানো হবে প্রতীক শেখরের তথ্যচিত্র চারডি কলা: অ্যান ওড টু রেজ়িলিয়েন্স।
জন্মদিনে
এক দিন অচানক (ছবিতে শুটিংয়ের দৃশ্য) তৈরি করতে গিয়ে একটা জেদ পেয়ে বসেছিল মৃণাল সেনের। কবিতায় এক লাইনে পাশাপাশি শব্দে অতীত বর্তমানের বসবাস, গল্প-উপন্যাসেও তাদের মিশিয়ে দেওয়া হয়, ফিল্মে কেন আনা যাবে না! বলেছিলেন নব্বই দশকে এক সাক্ষাৎকারে। সিনে সেন্ট্রাল ও রামমোহন লাইব্রেরি অ্যান্ড ফ্রি রিডিং রুম-এর উদ্যোগে ছবিটি দেখানো হবে রামমোহন লাইব্রেরি সভাঘরে বিকেল ৫টায়, ১৪ মে, মৃণালবাবুর ১০১ পূর্তির জন্মদিনে। ছবির নির্মাণপর্বে পরিচালকের সৃজনভাবনা নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন সঞ্জয় ভট্টাচার্য, উইথ মৃণাল সেন (প্রযো: সুব্রত ভট্টাচার্য), দেখানো হবে সেটিও। গোর্কি সদনে সে দিন বিকেল সাড়ে ৫টায় মৃণাল-স্মরণে অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী আইজ়েনস্টাইন সিনে ক্লাব, ইন্ডিয়ান পিপল’স কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন, প্রোগ্রেসিভ রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন কলকাতা-র; বলবেন শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্মৃতিতে আজও
১৯১৯-এর জালিয়ানওয়ালা বাগ একশো বছর পেরিয়েও রয়ে গেছে পারিবারিক ও গোষ্ঠীস্মৃতিতে। সাধারণ মানুষ, বিশেষত অমৃতসর শহরের মহিলাদের অভিজ্ঞতা ও স্মৃতির সঙ্গে জালিয়ানওয়ালা বাগের (ছবিতে স্মৃতিস্তম্ভ) সংযোগসূত্রগুলি একত্র করার জরুরি কাজটি করেছিলেন শর্মিষ্ঠা দত্ত গুপ্ত, জালিয়ানওয়ালা বাগ হত্যাকাণ্ডের শতবর্ষ পূর্তির আগের দিনগুলিতে। তার অবিচ্ছেদ্য অংশ জালিয়ানওয়ালা বাগ পর্বের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সংযোগ-সম্পর্ক, বাংলার বাইরে জনমানসে আজ যা অনেকটাই বিস্মৃত। এই গবেষণাই দুই মলাটে প্রকাশিত হয়েছে দ্য জালিয়ানওয়ালা বাগ জার্নালস (যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা) নামে। আজ সন্ধে ৬টায় আলিপুর মিউজ়িয়মে বইটি নিয়ে আলোচনা, থাকবেন গুরবক্স সিংহ, সুরঞ্জন দাস ও হিমাদ্রি বন্দ্যোপাধ্যায়, লেখিকা নিজেও।
জীবনরসিক
পড়াশোনার যে অন্তরঙ্গ ইতিহাস, তার নির্মাতা ও মুখ্য চরিত্রও আসলে প্রবাদপ্রতিম মাস্টারমশাইরা, বললে ভুল হবে কি? প্রেসিডেন্সি কলেজ সগর্বে বলবে এক দিকে উচ্চগ্রাম পাণ্ডিত্য ও ধী-সম্পন্ন অধ্যাপক, অন্য দিকে ক্লাসে পাঠ্যবিষয় ছাত্রদের সামনে জলবৎ তরলম্ করে দেওয়ার অনায়াস ক্ষমতাসম্পন্ন অধ্যাপকদের কথা। অশোককুমার মুখোপাধ্যায়ের কাছে পড়েছেন যাঁরা, তাঁরা জানেন কত সহজে, স্নিগ্ধ শব্দচয়নে, সরস মজায় পড়াতেন তিনি ওল্ড ইংলিশ, চসার, ব্রাউনিংয়ের কবিতা। সুপণ্ডিত অধ্যাপক তারাপদ মুখোপাধ্যায়ের সুযোগ্য পুত্র, পড়েছেন প্রেসিডেন্সি ও অক্সফোর্ডে, প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকেই অবসর; অতিথি অধ্যাপক ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে। আদ্যন্ত জীবনরসিক: গীতবিতান ঠোঁটস্থ, গান গাইতেন সাবলীল, ভালবাসতেন ভ্রমণ ভোজন গল্প আড্ডা। গত ৩০ এপ্রিল ভোররাতে চলে গেলেন ছাত্রদরদি শিক্ষক, অষ্টাশি বছর বয়সে। রেখে গেলেন দুই কন্যা, অগণিত গুণমুগ্ধকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy