‘টক টু মেয়র’-এ ফিরহাদ হাকিম।—ফাইল চিত্র।
বছর কয়েক আগে এক গভীর রাতে রবীন্দ্র সরোবরের পাশ দিয়ে বেহালার বাড়িতে ফিরছিলেন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। হঠাৎ তাঁর কানে আসে পাখিদের কিচিরমিচির। অত রাতে পাখির কলরব কেন? গাড়ি থামিয়ে পথে নেমে মেয়র দেখেন, বাতিস্তম্ভের জোরালো আলোয় ঘুমোতে পারছে না পাখিরা। পরদিনই ওই জায়গায় আলো কমানোর নির্দেশ দেন মেয়র।
এ বার কলকাতার বর্তমান মেয়রের কাছে সেই একই বিষয় নিয়ে অভিযোগ করলেন এক বৃদ্ধা, ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে। ফোনে ফিরহাদ হাকিমকে ওই বৃদ্ধা বলেন, ‘‘আমার বাড়ির সামনে ল্যাম্পপোস্টে এত জোর আলো যে, ঘুমোতে পারছি না। আমি এক জন বৃদ্ধা। আমার শোয়ার ঘরের জানলা দিয়ে এত জোরালো আলো ঢোকায় খুব অসুবিধায় পড়েছি। কিছু করুন।’’ মুহূর্তের জন্য মেয়র ভেবে পাচ্ছিলেন না, তাঁকে কী জবাব দেবেন। পরে বলেন, ‘‘জানলায় একটা পর্দা লাগিয়ে দিন মাসিমা।’’ ও পার থেকে বৃদ্ধা বলেন, ‘‘আমি এসি চালিয়ে থাকতে পারি না। একটু বাতাসের জন্য জানলা খুলেই ঘুমোই। কিন্তু এখানে ১০০ মিটারের মধ্যে ৬টি বাতিস্তম্ভে খুব জোরালো আলো জ্বলে। ফলে ঘুম আসেই না।’’
বৃদ্ধা জানান, বিষয়টি প্রাক্তন মেয়রের অফিসেও জানিয়েছিলেন তিনি। বললেন, ‘‘শোভনবাবুর অফিসে জানিয়েছিলাম। কোনও কাজ হয়নি। একটাই অনুরোধ, ওই আলোটা সরিয়ে দিন।’’ এ বার ফিরহাদ আলো দফতরকে নির্দেশ দেন, সেখানে কম জোরালো আলো লাগাতে।
পরের একটি ফোনে ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আর এক মহিলার কাতর আবেদন, ‘‘বিপজ্জনক বাড়ির পাশে বাস করছি। প্রতিদিনই মনে হয়, এই বুঝি চাপা পড়ে মরে যাব। আমাকে বাঁচান।’’ তাঁকে মেয়র বলেন, ‘‘কালই (বৃহস্পতিবার) আপনার বাড়িতে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার পরিদর্শনে যাবেন। চিন্তা করবেন না।’’ পাটুলির এক বয়স্ক বাসিন্দার অভিযোগ ছিল, ‘‘২০১৭ সালে মিউটেশনের আবেদন করেছি। এখনও হল না।’’ দ্রুত পুরসভা ব্যবস্থা নেবে বলে তাঁকেও আশ্বস্ত করেন মেয়র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy