গত বছরের ১৭ মার্চ গভীর রাতে গার্ডেনরিচে ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ওই নির্মীয়মাণ বেআইনি বহুতলটি ভেঙে পড়ে। —ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ কলকাতার নেতাজিনগরে একটি চারতলা বাড়ি হেলে পড়ার ১০ মাস আগে বন্দর এলাকায় ভেঙে পড়েছিল একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। গার্ডেনরিচ থানা এলাকার ফতেপুরে সেই নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় আদালতে চার্জ গঠন করে শুনানি শুরু হলেও এখনও অধরা এক অভিযুক্ত। লালবাজার সূত্রের খবর, পলাতক ওই অভিযুক্তের নাম মহম্মদ শাহনওয়াজ়। সে ওই নির্মীয়মাণ বহুতলের জমির অন্যতম মালিক। ঘটনার পরেই শাহনওয়াজ় বিদেশে পালিয়ে গিয়েছে বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। তার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছে লুক আউট নোটিসও। কিন্তু ঘটনার পরে দশ মাস হতে চললেও খোঁজ নেই শাহনওয়াজ়ের।
গত বছরের ১৭ মার্চ গভীর রাতে গার্ডেনরিচে ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ওই নির্মীয়মাণ বেআইনি বহুতলটি ভেঙে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে প্রাণ হারান ১৩ জন। ঘটনার পরে অভিযোগ ওঠে, সংশ্লিষ্ট বহুতলটি তৈরি হয়েছিল অত্যন্ত নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে। এমনকি, সেটির কোনও ছাড়পত্রও ছিল না। এই ঘটনার তদন্ত করার জন্য
লালবাজারের তরফে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করা হয়। সিটের তরফে ঘটনার ৮৮ দিনের মাথায় আলিপুর আদালতে ৭৩০ পাতার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, চার্জশিটে শাহনওয়াজ় ছাড়াও নাম রয়েছে বহুতলটির প্রোমোটার শেখ
ওয়াসিম ওরফে ওয়াসি, বহুতলটি যে জমিতে তৈরি হচ্ছিল তার তিন মালিক— মহম্মদ শামিম, মহম্মদ সরফরাজ এবং মহম্মদ দিলনওয়াজ়ের। এ ছাড়া, চার্জশিটে নাম আছে ওই বাড়ি তৈরির সঙ্গে যুক্ত শেখ রিপনের। সে ওই ভেঙে পড়া বহুতলটির মূল নির্মাণ-শ্রমিক ছিল। পাশাপাশি, অন্য শ্রমিকদের দেখাশোনার দায়িত্ব এবং বহুতলটি কী ভাবে তৈরি
হবে, তারও দায়িত্ব ছিল রিপনের উপরে। বর্তমানে অভিযুক্ত ওই পাঁচ জনই রয়েছে জেল হেফাজতে।
লালবাজার জানিয়েছে, আদালতে দেওয়া চার্জশিটে ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং সরকারি আদেশ না মানার মতো একাধিক ধারায়
অভিযোগ আনা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই আলিপুর আদালতে অভিযুক্ত পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। তার পরেই ওই ঘটনার বিচার-পর্ব শুরু হয়েছে। চলতি মাসেই এই মামলার শুনানির দিন রয়েছে।
এক পুলিশকর্তা জানান, অভিযুক্তদের তরফে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। দুই অভিযুক্তের তরফে জামিনের আবেদন করা হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। কাল, শুক্রবার এক অভিযুক্তের জামিনের আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে উচ্চ আদালতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy