রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
পারস্পরিক দুঃখপ্রকাশ এবং ক্ষমা চাওয়ার ভিত্তিতে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যাহৃত হল র্যাগিং ও যৌন হেনস্থার অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে বিস্মিত শিক্ষামহলের একাংশ। এ ভাবে র্যাগিংয়ের অভিযোগ নস্যাৎ করা যায় কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে। অন্তর্বর্তী উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় হিন্দি বিভাগের পাঁচ ছাত্রীর কাছ থেকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার অ্যান্টি-র্যাগিং সেলের বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানেই বিষয়টির মিটমাট হয় বলে খবর। পরে শুভ্রকমল বলেন, ‘‘র্যাগিংয়ের বিষয়ই ছিল না। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের কিছু অভিযোগ রয়েছে। তাকেই ওরা র্যাগিং বলে দিয়েছে।’’
এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, স্নাতকোত্তর স্তরের ওই পাঁচ ছাত্রী যে অকৃতকার্য হয়েছেন, সেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে। সূত্রের খবর, অভিযোগকারী পাঁচ ছাত্রী এবং অভিযুক্ত দুই শিক্ষক বৈঠকে ছিলেন। শিক্ষকদের বক্তব্য ছিল, সন্তানতুল্য ছাত্রীরা তাঁদের ব্যবহারে আঘাত পেয়ে থাকলে তাঁরা দুঃখপ্রকাশ করছেন। ছাত্রীরা জানান, পিতৃতুল্য শিক্ষকদের আচরণ তাঁদের বুঝতে ভুল হয়েছে।
ওই ছাত্রীদের ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল যে দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে, এ দিন ডাকা হয়েছিল তাঁদেরও। তাঁরাও ক্ষমা চান। এর পরে ছাত্রীরা সিঁথি থানায় গিয়ে লিখিত ভাবে ওই দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারের আশ্বাস দেন। যদিও পুলিশ সূত্রের খবর, ছাত্রীকে মারধর এবং যৌন হেনস্থার ঘটনায় দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন আরবুটার সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত দাস বলেন, ‘‘রবীন্দ্রভারতীতে র্যাগিংয়ের সংস্কৃতি আছে বলে বিশ্বাস করি না। এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের মতো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy