—ফাইল ছবি
টহলদার পুলিশ এবং সিসি ক্যামেরার নজরদারি সত্ত্বেও সন্ধ্যার ইএম বাইপাসে বিপজ্জনক ভাবে ওভারটেক করা নিয়ে বচসার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঘটনাটি ঘটে। শ্রেয়া প্রামাণিক নামে এক মহিলা টুইট করে ভিডিয়ো সমেত এই ‘অভিজ্ঞতা’ মেলে ধরেছেন। ভিডিয়োয় অবশ্য অভিযোগের সত্যতা পুরোটা স্পষ্ট নয়।
মহিলার বয়ান অনুযায়ী, ভরসন্ধ্যায় ইএম বাইপাসে তীব্র গতিতে ওভারটেক করেছে একটি নীল গাড়ি। বেপরোয়া ভাবে পাশের গাড়ির ডান দিকের কাচ ঘেঁষে বেরিয়ে সেটি ধাবমান মোটরবাইক সওয়ারিদের জীবন বিপন্ন করেছে। এখানেই শেষ নয়, পাশের গাড়ির পথ আটকে হঠাৎ রাস্তার মাঝখানে অকথ্য গালিগালাজ শুরু করেন সেই গাড়ির চালক। অন্য গাড়িটির আরোহী ওই মহিলা কলকাতা পুলিশ, ‘দিদিকে বলো’ থেকে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে লিখেছেন, ‘‘আমি লোকটির কাণ্ডকারখানা ভিডিয়ো করছি দেখে তিনি বেপরোয়া ভাবে আমাদের গাড়িতে চড়াও হয়ে ফোন ছিনিয়ে নিতে চান। আমি, গাড়িতে সহযাত্রী আমার ভাই এবং চালক— তিন জনেই ভয়ে চিৎকার করতে থাকি। শেষমেশ তিনি পিছু হটেন। কিন্তু পুলিশ ও সিসি ক্যামেরার সামনে এত বড় ঘটনা ঘটে কী ভাবে?’’ টুইটার ছাড়া ফেসবুকেও অভিযোগকারিণী এ নিয়ে সরব হয়েছেন।
পুলিশের দাবি, সার্ভে পার্ক থানা অভিযোগকারিণীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু তার পরে মহিলা অভিযোগ করতে রাজি হননি। নীল রঙের যে গাড়িটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেটির নম্বর ডব্লিউবি ১৮এডি ২০৭৭। শ্রীরামপুরে পরিবহণ দফতরের তরফে গাড়িটির নথিভুক্তি করা হয়েছে। অভিযোগকারিণীর তোলা ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ওই গাড়িটি এক মাঝবয়সী ব্যক্তি চালাচ্ছেন। এক জন মহিলাও রয়েছেন পাশে। চশমা পরা মাঝবয়সী ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা কাটাকাটির আভাস মেলে অভিযোগকারিণী ও তাঁর সহযাত্রীদের। কিন্তু কেন পুলিশে কোনও অভিযোগ করতে চাননি তিনি? মহিলার কাছে এর সদুত্তর মেলেনি। তাঁকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠিয়েও কোনও সাড়া মেলেনি। তিনি কি পুলিশের প্রতি কোনও কারণে আস্থা হারিয়েছেন? এই প্রশ্ন করা হলেও জবাব মেলেনি।
তবে ঘটনা যা-ই হোক, ইএম বাইপাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় দু’টি গাড়ির এমন টক্কর কত দূর অভিপ্রেত, সে প্রশ্ন উঠেছে। বেশ কয়েক মিনিট ধরে দু’টি গাড়িরই পরস্পরকে টপকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা এবং মাঝরাস্তায় গাড়ি থামিয়ে দুই গাড়ির আরোহীর কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়াটা কত দূর কাম্য? কেন ঘটনাস্থলেই পুলিশ গাড়ি থামিয়ে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হল, সে প্রশ্নও উঠেছে। সংশ্লিষ্ট ট্র্যাফিক গার্ডের কাছে এর সদুত্তর মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy